নিজস্ব প্রতিবেদক
সমগ্র বিশ্ব আজ করোনা নামক ভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্ত। আমরাও এই বাইরে নই। গোটা বাংলাদেশ এমনকি মুন্সীগঞ্জেও করোনার ভয়াল থাবা লেগেছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনার টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কয়েক দফা কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছিল। মুন্সীগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ জানাই আপনারা এসব বিধি-নিষেধ পালন করেছেন।
তিনি বলেন, এখন সবকিছুর সমন্বয়ের জন্য, জীবন-জীবিকার স্বার্থে, অর্থনীতি বাঁচাতে-সকলের আর্থ-সামাজিক দিক বিবেচনা করে বিধি-নিষেধ কিছু শিথিল করা হয়েছে। এই শৈথিল্য আপনাদের জন্যই করা হয়েছে- যেন কেউ কষ্ট না পায়। কাজ-কর্ম পেশাগত জীবন অব্যাহত রাখতে পারে। এই সময়েও আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত হাত ধুতে হবে।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বোপরি সবাইকে টিকা নিতে হবে। নিজে টিকা নিয়ে অন্যকেও নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সরকার জনগণকে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে। শেখ হাসিনা টিকা ক্রয়ের জন্য এই বাজেটে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। ২১ কোটি টিকা আনা হচ্ছে। টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতে সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। টিকা নিলে সুরক্ষা মিলবে। তাই টিকা না নেওয়ার কোন বিকল্প নাই। ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই টিকা নিতে পারবেন। টিকা নিয়েও নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে-এসবে কেউ বিশ্বাস করবেন না।
জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। আমাদের সরকার সকলের জন্য সমভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হবেই। আমরা প্রয়োজনীয় টিকা আনবই। এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে বারবার বলি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মুন্সীগঞ্জে টিকার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আরও টিকা এই জেলায় দেওয়া হবে। জনগণকে টিকা প্রদানের আমাদের সরকার খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশে টিকা আনতে সকল কর্মপ্রচেষ্টা ও কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনাদের সবাইকে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করতে হবে। আমি সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে আছি। যেকোন প্রয়োজনে আমাকে পাশে পাবেন। কোন গরীব যেন কষ্ট না পায়, কোন শ্রমিক যেন কর্মহারা না থাকে সেজন্য আমি সবসময় সহযোগিতা করে যাব। সবার প্রতি অনুরোধ, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করাবেন। গোপন করবেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে করোনা ঘরে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ মত নিয়ম মেনে ঔষধ খেলে ঠিক হয়। এখন ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে। ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। তিনদিনে একবার জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গু হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু সহজেই সেরে যায়। আতঙ্কিত হবেন না। করোনা বা ডেঙ্গু হলে ঘাবড়ে যাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আমাকে পাশে পাবেন। আমি সকলের সুস্থতা কামনা করছি। সকলের জন্য শুভ কামনা।