নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা সাপের চর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে রেমিটেন্স যোদ্ধা কুয়েত প্রবাসী মোঃ সানাল (৩৫) সাজানো মিথ্যে মামলায় জেলহাজতে আছেন দীর্ঘ দু’মাস যাবত। একই ইউনিয়নের চরপানিয়া গ্রামের মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন (৬০) বাদী হয়ে জি আর নং ২২/২১ ও ৬ (২)/৭,২০২১ ধারায় একটি কোর্টে মামলা করেন। বিবাদী মোঃ সানাল এসবের কিছুই জানতেন না। কুয়েত থেকে দেশে ছুটিতে আসলে তাকে সাজানো মিথ্যে মামলা দিয়ে রাখেন গোপনে। দেশে ছুটি কাটিয়ে পুনরায় কুয়েতে যাওয়ার সময় শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
দীর্ঘ দু’মাস যাবত মিথ্যে মামলায় জেলহাজতে থাকার কারণে কুয়েতে তার ভিসার মেয়াদও চলে যাচ্ছে। এদিকে ছেলেসন্তান নিয়ে রেমিটেন্স যোদ্ধা কুয়েত প্রবাসী মোঃ সানালের স্ত্রী এখন অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মোঃ সানালের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, কি কারণে, কেন আমার স্বামীকে মামলা দিয়েছে আমরা তার কিছুই জানিনা। আমরা গরীব মানুষ। আমার স্বামীর ভিসার মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায় আমরা ভিক্ষা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবনা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সামাজিকভাবে মীমাংসাসহ বাদী মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন স্বেচ্ছায় তার ভুল বুঝতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সামনে রেখে আপোষের জন্য একটি মীমাংসা পত্র দিয়েছেন ইতোমধ্যে। বাদী মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন বলেন, আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি করেছিলাম। কিন্ত আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। যেহেতু উভয়েই আমরা পর¯পর আত্মীয় তাই আপোষ মীমাংসার জন্য আমি লিখিত দিয়েছি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে আদালত যাতে তাকে মুক্তি দেয়।
বালুচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক বলেন, ছেলেটা একেবারেই নির্দোষ এবং নিরীহ। দু’মাস যাবত জেলহাজতে আছে একেবারে বিনা কারণে। তবে যিনি মামলা করেছেন তিনি ইতোমধ্যে সামাজিকভাবে আপোষনামায় বলেছেন যাতে ছেলেটি তাড়াতাড়ি মুক্তি পায়। সেজন্য বাদী মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন সবকিছু করতে রাজি আছে।