নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরকাদিমের আবাসিক এলাকায় ও দুটি স্কুলের সামনে প্রতিদিন পালাক্রমে ময়লা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে নানা মহলে। মিরকাদিম পৌরসভার বিভিন্ন স্থান থেকে বাসা বাড়ির ময়লা কুড়ানিরা সংগ্রহ করে এখানে এনে ফেলছেন বলে শোনা যাচ্ছে। মিরকাদিমের একাংশবাসীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার এ উদ্যোগে আবার অনেককে দুর্গন্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এর ফলে এখানে প্রতিদিন অত্র এলাকার ময়লা ও আবর্জনা ফেলার কারণে স্তুপে পরিণত হয়েছে এই এলাকাটি। ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে এখান দিয়ে বর্তমানে মানুষের পথ চলায় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের। অত্র এলাকায় এতো জায়গা থাকা সত্ত্বেও কেন এ জায়গাটি বেছে নিয়ে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে রহস্যের জাল দানা বাঁধতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সাধারণত যেসব স্থানে কোন বসতি থাকে না সেখানেই এ ধরণের ময়লা ফেলানো হয়ে থাকে বলে এখানকার বসতিরা মনে করছেন। কিন্তু কেন আবাসিক এলাকায় ও স্কুলের সামনে এভাবে প্রতিদিন ময়লা ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ? ময়লা ফেলার স্থান থেকে একটি দূরে রয়েছে দুটি স্কুল। একটি হচ্ছে রিকাবিবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও অন্যটি হচ্ছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে থাকে। কিন্তু ময়লার এ কারণে এখানকার শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জানালা দরজা বন্ধ করে তবেই পাঠদান প্রক্রিয়া চলে বলে শোনা যাচ্ছে। এ অভিশপ্ত দুর্গন্ধ থেকে এখানকার শিক্ষার্থীরা মুক্তি চায়। এদিকে যে স্থানে বর্তমানে ময়লা ফেলা হচ্ছে তার কুল ঘেঁষে রয়েছে একাধিক মানুষের বসতি। ময়লার দুর্গন্ধে এখানে কোন সভ্য মানুষই বসবাস করতে পারে না বলে অনেকেই মনে করছেন। এখানকার বসতিরা অনুরূপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া এর পাশ দিয়ে প্রতিদিনই এ পথে শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে। তাদেরকে নাক চেপে তবেই এ পথে চলতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এর পূর্ব পাড়ে রয়েছে রিকাবী বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। এ পথ ধরেই মা ও শিশুদের টিকাসহ স্বাস্থ্য সেবার জন্য অনেককেই ছুটতে হয় সেখানে। কিন্তু ময়লার স্তুপের কারণে এখানকার বসতিদেরকে অন্য পথে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সেখানে যেতে হয় বলে অনেকেই জানিয়েছেন। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে আবাসিকের ও স্কুলের সামনের দিকের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে দেখা যায়। এর ফলে এখানকার মানুষ বর্তমানে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে অনেকটাই। এ বিষয়টি যাদের দেখার দায়িত্ব রয়েছে তারা রহস্যজনক কারণে এখানে দেখভাল করছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।