নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তারপুর থেকে রিকাবীবাজার যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। বছরের পর বছর এই রাস্তাটি পুনঃসংস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এ পথে কোন পথচারী কিংবা কোন গাড়ি কোনভাবে চলাচল করতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। মুক্তারপুর ফেরিঘাট থেকে বিনোদপুর পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচের কার্পেটিং উঠে গেছে ইতোমধ্যে। মুক্তারপুর বাজার ও রিকাবীবাজারে কেনাকাটা করতে আসা লোকজন এ ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলে অনেক ধরণের অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে জানান। এ বাজারের রাস্তার পাশে রয়েছে একাধিক হিমাগার। সেই হিমাগার থেকে প্রতিদিনই বের হচ্ছে আলুর শত শত বস্তা। এখানকার ব্যবসায়ীদের কখনো কখনো ঠেলাগাড়িতে করেও আলু নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে আলু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন প্রতি মুহূর্তে। অতি দ্রুত এ রাস্তাটির সংস্কার কাজ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। আবার কেউ কেউ মনে করছেন ধলেশ্বরী নদীর পাশে রাস্তাটি হওয়ায় পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাতি পেতে পারে সারাদেশে। এ বিষয়ে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, গতবছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি খারাপ হয়ে যায়। তখন অস্থায়ীভাবে কিছু কাজ করা হলেও সম্পূর্ণ কাজটি করা হয়নি। এবার বরাদ্দ এসেছে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার কাজ করা হবে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোনায়েম সরকার বলেন, মুক্তারপুর থেকে বিনোদপুর পর্যন্ত ১৩ শত মিটার রাস্তার ৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডার হলেই অতি দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।