নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নে তথা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন বাবুল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেরুন নেছা নাজমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সমর ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ করিম চৌধুরী, গৌতম মুখার্জী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, মীর কাদিম পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য মার্শেদা আক্তার লিপি, শ্রমিক লীগ শিল্পায়ন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আবুল কাশেম প্রমুখ। এসময় মুন্সীগঞ্জের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সম্মাননা প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। এর আগে মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপির নেতৃত্বে মুন্সীগঞ্জ শহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনÑএকাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাসÑ স্বাধীনতার ইতিহাস। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের এই ধারাবাহিক সংগ্রামে জীবনের ৪ হাজার ৬৭৫ দিন জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কয়েকবার ফাঁসি কাষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করার পরও স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নে আপোস করেননি।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের এই ধারাবাহিক সংগ্রামে জীবনের ৪ হাজার ৬৭৫ দিন জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কয়েকবার ফাঁসি কাষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করার পরও স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নে আপোস করেননি। জাতির পিতার এই দেশপ্রেম ও দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ বাঙালি জাতিকে জাগ্রত করে তোলে। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ৩০ লাখ শহীদের প্রাণ ও ২ লাখ মা-বোনের অবর্ণনীয় অত্যাচার-নির্যাতন সহ্যের দুর্বিষহ আত্মত্যাগের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মুন্সীগঞ্জবাসীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের অসংখ্য বীর সন্তান আত্মত্যাগ করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, রণাঙ্গণে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। সেই সব বীর সন্তানরাই মুন্সীগঞ্জের প্রাণের স্পন্দন। সেই সব বীর সন্তানদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে মুন্সীগঞ্জবাসীকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নে তথা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।