নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিতর্কিত হামলার ঘটনার প্রতিবাদে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার টঙ্গীবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে সকাল ১১টায় এ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক। আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ বাচ্চু বেপারী, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়াসহ উপজেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। এছাড়াও এতে মুন্সীগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন রুমি রাজন এর পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব শামীম হাওলাদার। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল হক টিটু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রিংকু বেপারী, সাবেক সদস্য সচিব ইখতিয়ার হোসেন শিকদার ডলার, জেলা পরিষদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আকলিমা আক্তার, আরিফুল ইসলাম, আবু বাক্কার মাঝি, সামসুদ্দিন তুহিন, হাবিব, মোঃ সেলিম শেখ, মাসুম মল্লিক, দিপু, কাজল শেখ, সুজন, আবুল কাশেম, মলিসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যবৃন্দ। এসময় সকলের বক্তব্যে একটা বিষয় ফুটে ওঠে যে, অতীতেও বহুবার এমন অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারা জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রতিবাদ জানানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং একজন বাঙ্গালী বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিটি নাগরিককে এর প্রতিবাদে অংশগ্রহণে আহ্বান জানান। তারা আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নেত্রী সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। অতীতে যেভাবে সাহস ও সহযোগিতা দিয়ে আমাদের পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও থাকবেন। কারণ মুক্তিযুদ্ধ না হলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের কোনো স্থান থাকত না। উল্লেখ্য যে, গত ২৬ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করতে দেয়নি বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। তার এই ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গত ৩ আগস্ট শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। তাদের এই মানববন্ধনে অতর্কিতভাবে বিতর্কিত হামলা চালায় মোস্তাফিজুর রহমানের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীবাহিনী। সন্ত্রাসীরা উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও এর সদস্যদের উপর লাঠিচার্জসহ মারাত্মক হামলা চালায়। এতে অনেকেই গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতিও ছিলেন। এছাড়াও ঐ স্থানে উপস্থিত বিভিন্ন নেতা-কর্মীসহ সংবাদমাধ্যম কর্মী এবং অনেক সাধারণ মানুষও আহত হন। এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের এই অপকর্মের জন্য তার যথাযোগ্য শাস্তি চান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এমপির কুকর্মের বিরুদ্ধে সকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে শুধু একটি আবেদন করেন যে মুক্তিযোদ্ধাকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদানে বাঁধা দান এবং শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে নৃশংসতা যা সত্যিই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তার এই অপরাধের জন্য যেন তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়।