নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার শহরতলীর ভৌগলিকভাবে দক্ষিণের ৪নং ওয়ার্ডটি হচ্ছে পূর্ব দেওভোগ গ্রাম। এ গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তার মাঝে ৩ ফুট ভিতরে অবস্থান করছে পল্লী বিদ্যুতের একটি বিশাল খুঁটি। এর ফলে এ রাস্তায় যানবাহন ও লোকজন চলাচলে অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে এ বিদ্যুতের খুঁটির কারণে। মুন্সীগঞ্জ শহরের নতুন কোর্ট এলাকা হতে দেওভোগ বাজার যাওয়ার আগে পৌর পানির পাম্প সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এই পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিটি। রাস্তার মাঝে এই বিদ্যুতের খুঁটিটি থাকায় এ পথটি এখন বিপদজনক হয়ে উঠেছে মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে। যদি কোন কারণে কোন ধরণের ধাক্কায় এ বিদ্যুতের খুঁটিটি ভেঙ্গে পড়ে তবে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এখানকার সাধারণ মানুষ। এদিকে এ রাস্তাটি হচ্ছে সব মিলিয়ে ১২ ফুট চওড়া। আর ১২ ফুট রাস্তার মাঝের ৩ ফুট ভিতরে অবস্থান করছে পল্লী বিদ্যুতের এই বিশাল খুঁটিটি। যার কারণে প্রতিদিনই এই রাস্তায় গাড়ি চলাচলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থা বছরের পর বছর বিরাজমান থাকায় রাস্তাটি নিয়ে এখন এলাকাবাসীর যাতায়াতের পথে একমাত্র গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অটোরিকশা, ইজিবাইক, রিকশাসহ অনেক সময়ে ভারি যানবাহনও চলাচল করে এ রাস্তাটি দিয়ে। ফলে রাস্তায় ভিতরে খুঁটি থাকার কারণে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের এই রাস্তাটি দিয়ে খুব সহজেই নতুন কোর্ট এলাকায় যাওয়া যায়। পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক উপজেলার লোকজনরা নতুন কোর্ট এলাকায় যাওয়ার লক্ষ্যে শর্টকার্ট হিসেবে সবসময়ে এ পথটি বেছে নেন বলে জানা গেছে। তাই রাস্তাটি মুন্সীগঞ্জ শহরতলীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে সকলের কাছে। এছাড়া অনেক সময়ে এ পথে অবৈধ লাইসেন্সবিহীন যানবাহন পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো হচ্ছে নতুন কোর্ট, ডিসি অফিস, জেলা পরিষদ, এসপি অফিস, এলজিইডি, সিভিল সার্জন, সার্কিট হাউজ, সুইমিংপুল, ডায়াবেটিকস হাসপাতাল ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. শফিউল আলম জানান, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যদি খুঁটি থাকে জনগণের সমস্যা হয়। তাহলে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।