নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মৃত আহাম্মেদ আলী চৌধুরীর মাঠপাড়া এলাকার বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সন্তানদের মধ্যে পরস্পর দোষারোপ ও সন্দেহের রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরে মাঠপাড়া এলাকায় আহাম্মেদ আলী চৌধুরীর বড় ছেলে মোঃ ইমরান চৌধুরী তার পরিবার নিয়ে বসতরত বাড়িতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকান্ডে মোঃ ইমরান চৌধুরীর ১টি ঘরসহ অপর দুই ছোট ছেলে মোঃ রায়হান চৌধুরী ও মোঃ রাহাত চৌধুরীর ২টি টিনের ঘর ও ঘরের আসবাবপত্রসহ অন্য সকল মালামাল পুড়ে যায়। ওইদিন মুন্সীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস মাঠপাড়া এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে সাবেক কাউন্সিলর মৃত আহাম্মেদ আলী চৌধুরীর ৩ ছেলে তাদের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপ ও দায়ী করছে। এ ব্যাপারে আহাম্মেদ আলী চৌধুরীর ছোট ছেলে মোঃ রাহাত চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় ভাই মোঃ ইমরান চৌধুরীসহ তার পরিবার এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার পেছনে আমাদের দায়ী করছে। অথচ দুটিই আমাদের পৈতৃক বাড়ি। সেখানে ক্ষতি হওয়া মানে আমাদেরও ক্ষতি হওয়া। মোঃ রাহাত চৌধুরী উল্টো অভিযোগ করে আরো বলেন, বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া হোটেল ব্যবসায়ী খোকন মিয়া আমাদের বাড়িতে শত্রুতাবশত এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটাতে পারেন। এই ভাড়াটিয়া খোকনের সঙ্গে আমার বড় ভাইয়ের পরিবারের যোগসাজশ রয়েছে। এদিকে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মৃত আহাম্মেদ আলী চৌধুরীর ছোট ছেলে মোঃ রাহাত চৌধুরী বলেন, তারা সম্মিলিতভাবে সম্পত্তির লোভে বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর উল্টো অভিযোগ করছে। মোঃ রাহাত চৌধুরী বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস এ অগ্নিকান্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আগুন লাগার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। অপরদিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মৃত আহাম্মেদ আলী চৌধুরীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম চৌধুরী এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কেনো, কী কারণে বাড়িতে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করলে পাওয়া যাবে। কাউকে দোষারোপ ও সন্দেহ করা ঠিক হবেনা। তবে আমার বড় ছেলে ইমরানের স্ত্রী আন্না বেগম বাড়িতে এই আগুন লাগার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে এ বিষয়ে মৃত আহাম্মেদ আলী চৌধুরীর বড় ছেলে মোঃ ইমরান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাস্টার আবু ইউসুফ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনার বিষয়ে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত করা শেষ হলে বলা যাবে আগুন কীভাবে লেগেছে।