ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের পুনরায় ঢাকায় ফেরত
নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণবঙ্গের ২৩ জেলার একমাত্র প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। গতকাল মঙ্গলবার এই ঘাটে ছিলো ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে ঘাটে আসা হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ। জেলা পুলিশ বিকেল থেকে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের পুনরায় ঢাকায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়। জেলা পুলিশের নিজস্ব অর্থায়নে গাড়ীর ব্যবস্থা করে এসব যাত্রীদের ঢাকায় পুশব্যাক করা হয়। রাতে পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় ঘাট এলাকায় আটকে পড়া কিছু সংখ্যক ঘরমুখো মানুষকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ফেরি দিয়ে পদ্মায় পার হতে সহায়তা করে। বুধবার বিকাল ৩টায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকা পরিদর্শনে আসেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মোমেন পিপিএম। তিনি ঘাট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং কোথাও কোন গাড়ী এবং যাত্রী যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিক নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম তার বক্তেব্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষ এ ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। ঈদের সময় ঘুরমুখো মানুষের প্রচন্ড ভিড় থাকে। গতকাল মঙ্গলবারও যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় ছিলো। বিকেলের দিকে জেলা পুলিশ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন এবং বাসের ব্যবস্থা করে ঘাট এলাকায় আসা যাত্রীদের ঢাকায় ফেরত পাঠায়। বিনামূল্যে জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে এই কাজটি আমরা করেছি। এখন ঘাট এলাকায় কিছু কাভার্ডভ্যান ও পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র লাশবাহী গাড়ীগুলোকে চলতে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন সেটা হলো নিত্যপণ্য। সেই নিত্য পণ্য বহনকারী গাড়ীগুলোকে আমরা চলতে দিচ্ছি। যে সমস্ত মানুষ ঘাটে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন আমি তাদেরকে বলবো করোনার এই মহামারী ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কোনভাবেই ঘাট এলাকায় এসে জমায়েত হবেন না।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লৌহজং সার্কেল) আসাদুজ্জামান মিয়া, ওসি ডিবি মোজাম্মেল হক, লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।