মুন্সীগঞ্জে নদীভাঙন রোধে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে – এড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে নদীভাঙন রক্ষায় যা যা পদক্ষেপ রয়েছে তা সবই নেওয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আর ভাঙন রোধে সমগ্র মুন্সীগঞ্জে ৪৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। গতকাল বুধবার দুপুরে ভাঙন কবলিত মুন্সীগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানান তিনি। উপমন্ত্রী আরো বলেন, মুন্সীগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধকে সংস্কার করা প্রয়োজন। সাময়িকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষা করা হলেও টেকসই অর্থাৎ ২৫-৩০ বছরের জন্য যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য টেকনিক্যাল কমিটি ৭ দিনের মধ্যে করা হবে। শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারে যত টাকা লাগবে তা বরাদ্দ দেওয়া হবে। গজারিয়া উপজেলায় ১৫-১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ কি.মি. স্থায়ী বাঁধ যাতে নির্মাণ করা যায়, এ বছরের মধ্যে তা হওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ীতে বাঁধ নির্মাণের জন্য ৪১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গজারিয়া উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপমন্ত্রী। এসময় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাস বলেন, মুন্সীগঞ্জে বন্যার পানিতে শহর রক্ষা বাঁধটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রামবাসী বাঁধের তীরের ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শঙ্কায় পড়েছেন। বাঁধটি মেরামতে ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এমপি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি সংস্কার না হওয়ায় মানুষ শঙ্কায় আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আমাদের মুন্সীগঞ্জের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই এই কাজ বাস্তবায়ন হবে। শুধু তাই নয়, গজারিয়া উপজেলায় মেঘনার ভাঙ্গন রোধেও উপমন্ত্রী কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন। তিনি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক সামসুল কবির, কাউন্সিলর মুকবুল হোসেন, নার্গিস, দর্পন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ সম্পাদক আপন দাস, শ্রমিক নেতা আবুল কাসেম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।