নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের হযরতপুর আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. মেনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দরখাস্ত দিয়েছে এক ভুক্তভোগী শিক্ষক। গত রবিবার সকালে এই দরখাস্ত জমা দেন হযরতপুর আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী গণিত শিক্ষক মো. আজাদুল ইসলাম। দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর এলাকায় হযরতপুর আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মেনহাজ উদ্দিন। এই সুপারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর এলাকায়। জানা যায়, তিনি মাদ্রাসা শিক্ষকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তার কথা না শুনলে শিক্ষকরা তার রোষানলে পড়ে চাকুরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আরো জানা যায়, সুপারের সনদ নিয়েও কথা উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, সাধারণ দাখিল ১৯৮৬ দ্বারা সহকারী মৌলভীতে এমপিও হয় ১৯৯০ (দরকার আলিম পাস) তিনি শিক্ষকতা অবস্থায় অধ্যায়নরত ছিলো। সুপার হওয়ার জন্য অন্য মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্র ও অফিসিয়াল কাগজে ভিন্ন তথ্য সংযোজন করেছেন। ছাড়পত্রের স্বাক্ষর জাল করে ২০১০ সালে সুপার হয়েছে। প্রমাণের জন্য এমপিও কপির স্বাক্ষর নিয়ে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ছুটি কাটান বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা ঐ সুপারের সকল সার্টিফিকেট যাচাই করার অনুরোধ জানান। দরখাস্তে লিখা হয়েছে ঐ সুপারের রোষানলে পড়ে ইতিমধ্যে চাকুরিচ্যুত হয়েছেন শিক্ষক মো. ইউসুফ, মো. আবিদ হোসেন, মো. আনিসুর রহমান, মো. আজাদুল ইসলাম। এছাড়া তার রোষানলে পড়েছেন শামীম, মো. সিদ্দিক, সহ সুপার মো. রাজ্জাক। ভুক্তভোগীরা সুপার মেনহাজ উদ্দিনের অপসারণ চান এবং তার অভিযোগের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত চান। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. মেনহাজ উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও বোর্ড অফিস, শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে যারা অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মনগড়া মিথ্যা। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে কিন্তু কিছুর সত্যতা মেলেনি।