নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। হামলা চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ককটেল বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে মুন্সীগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার ঘটনায় ওই গ্রামের হারুন ঢালী (৩৫), জহিরুল ইসলাম বেপারী (৪০), ইব্রাহীম বেপারী (৩৫), সবুজ মোল্লা (৩০), আওলাদ মাদবর (৫০), জিন্নাত আলী (৫৫) সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পাশাপাশি ককটেলের আঘাতে দু’টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন হক কল্পনার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বুধবার রাতে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় রিপন পাটোয়ারী গ্রুপের জুয়েল শিকদারের নেতৃত্বে সনি হালদার, মতি বেপারি, বাবুল ঢালী, মামুন হালদার ও রাসেল হালদারসহ ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি গ্রুপ বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন হক কল্পনার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলার শিকার রাজারচর গ্রামের আল-আমিন ও মহিউদ্দিন জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন এই হামলা চালায়। বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার কর্মী সমর্থকদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। ককটেলের আঘাতে দু’টি বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েল শিকদারের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে তবে এসব ঘটনায় আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (অপারেশন) শেখ আবু হানিফ বলেন, “রাতে ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।