নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আলু তোলার মহোৎসব চলছে। নারী-পুরুষের সাথে যোগ দিয়েছে শিশুরাও। চলছে বিক্রি এবং হিমাগারে সংরক্ষণের কাজ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জকে যদি বলা হয় আমের রাজধানী তাহলে আলুর রাজধানী মুন্সীগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত। মুন্সীগঞ্জের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন আলু তোলার উৎসব। নারী-পুরুষ-শিশুদের দিনভর ব্যস্ততা মাঠে মাঠে। চলছে বাজারজাতকরণ আর হিমাগারে সংরক্ষণের কাজও। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারমূল্য কম বলে কিছুটা দুশ্চিন্তায়ও আছেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সারাদেশে প্রতি হেক্টর জমিতে যেখানে গড়ে আলু উৎপাদন হয় সব্বোর্চ ১৬ মেট্রিক টন, সেখানে মুন্সীগঞ্জে ফলন হয় এর দ্বিগুণ। উর্বর মাটি এর প্রধান কারণ। এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। যদিও বাজারমূল্য কম বলে দুশ্চিন্তাও আছে। কৃষিবিভাগ বলছে, মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলায় এ বছর ৩৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। আলু তোলার পর একই জমিতে চাষ হবে রবিশস্য। কৃষকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে মুন্সীগঞ্জের আলু বিদেশে রপ্তানি করার ওপর জোর দাবি কৃষকদের। আলু সংরক্ষণের জন্য মুন্সীগঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে ৭৬টি হিমাগার আছে, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকেরা।