নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে জমিতে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মো. নাজিম উদ্দিন মোল্লা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পানহাটা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বেপারীর পুত্র বিবাদী ইসমাইল বেপারী (৫৫) বাবুল বেপারী (৫২), আবুল বেপারী (৪২)সহ রহিমা বেগম ও রেজিয়া বেগম তারা সবাই মো. নাজিম উদ্দিন মোল্লার প্রতিবেশী। তাদের সাথে নাজিম উদ্দিন মোল্লার জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিবাদীদের সাথে গত ১৬/৪/১২ইং হতে মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানী মামলা চলছে যাহার মামলা নং ১৫১/২০১২। মামলা চলাকালীন পরবর্তীতে মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আবুল কাসেমের উপস্থিতিতে বিগত ৯-৪-১৪ইং তারিখে আদেশ নং-২৪ এর মূল আদেশ প্রদান করেন যে উক্ত মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপরে উল্লেখিত বিবাদীরা যাহাতে নালিশী সম্পত্তিতে ভূমির আকার আকৃতি পরিবর্তন না করতে পারে বা ভূমিতে কোন ইমারত বা বিল্ডিং নির্মাণ করিতে না পারে এবং আপত্তি দাখিল ও শুনানী না হওয়া পর্যন্ত নালিশী জমিতে ইমারত নির্মাণে উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত আদেশ অমান্য করে মামলা চলাকালীন বেদখল হয়েছে জায়গাটি। জানা যায়, নালিশী ভূমিতে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করতে স্থিতাবস্থার যে আদেশ ইতিপূর্বে দেয়া হয়েছে তা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকলে কোন পক্ষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই পূর্বের স্থিতাবস্থার আদেশ মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত বর্ধিত করার কথা বলা হয়েছে। ঐ ভূমিতে গত ৬ আগস্ট ২২ইং সকাল ৯টার দিকে বিবাদীরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। উক্ত নির্মাণ কাজে জমির মালিক ১১ শতাংশেরও কিছু বেশি জায়গা দাবী করা মো. নাজিম উদ্দিন বাঁধা প্রদান করলে বিবাদীরা অমিমাংসীত জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করবোই বলে তাকে হুমকি ধমকি দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয়দের জানালে তারা আমাকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেয়। আমি স্থানীয়দের পরামর্শে গত ৬ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এদিকে সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলাকালীন অবস্থায় বিবাদী ইসমাইল বেপারী গংরা উক্ত সম্পত্তিতে রাতের আঁধারে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
ভুক্তভোগী মো. নাজিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, মামলাটি বন্টন নামা মামলা। এই মামলা চলাকালীন বেদখল হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ থানার এস আই খসরু জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোর্টে একটি মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগী মো. নাজিম উদ্দিন মোল্লা জিডি করেছেন তার জিডির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কোর্টের কাছে জমিসংক্রান্ত বিষয়টির তদন্তের আবেদন জানিয়েছি। কোর্ট তদন্তের অনুমতি দিলে উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে তদন্ত করে কোর্টে কাগজপত্র দাখিল করব।