নিজস্ব প্রতিবেদক
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বিএনপি শাসনামলে দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো। আর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশ আলোয় আলোকিত হয়েছে। দুর্বার গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি, প্রদর্শন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ছয়তলা বিশিষ্ট জয়িতা ভবন এবং শিশুর সুষম বিকাশে শিশু একাডেমি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে বলে তার বক্তব্যে জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল জনগণের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল, মাথাপিছু আয়, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসহ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ১১ই ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জবাসীর জন্য অতন্ত গৌরবের দিন। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এইদিন মুন্সীগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করেছিল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের এই আয়োজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, সম্মানি ভাতা চিকিৎসা সুবিধা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত ১১ই ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ কথা বলেন। এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদযাপন করে। এসময় জেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ মোহাম্মদ এনামুল আহসানের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিলু রায়, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনিছ উজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজউদ্দিন তালুকদার ভুলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হোসেন, পিপি আব্দুল মতিন, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহিন, এম এ কাদের মোল্লা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাসির উদ্দীন উজ্জ্বল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম দেলোয়ার হোসেন মতিউল ইসলাম হিরু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১১ই ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুন্সীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দিক থেকে হানাদার বাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্যাম্প হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রাবাসের দিকে এগোতে থাকেন। দুপুরের আগেই ক্যাম্পের সবদিক ঘিরে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। হানাদারমুক্ত হয়ে মুন্সীগঞ্জের আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।
মুন্সীগঞ্জে জয়িতা ভবন ও শিশু একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হবে — মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
আগের পোস্ট