নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি, প্রবল স্রোত, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে। গত ৪/৫ দিনে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড়, কামারখাড়া, হাসাইল ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু জায়গায় বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়। এখনো শক্ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন। গতকাল বুধবার দুপুরে এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙনে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার প্রায় অর্ধেক এলাকা ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর আগে ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে দিয়েছেন। আমাদের এ সমস্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে ভাঙচুর হচ্ছে। দুইটি বিশাল এলাকার এলজিইডির এই রাস্তাটা যোগাযোগ রক্ষা করে। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে কয়েক জায়গায় ভেঙেছে। এ রাস্তা পদ্মার সাথে সরাসরি। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। আমি, আমাদের দলীয় নেতারা ও প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যে পরিকল্পনা করেছেন গ্রামেও উন্নত যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার। বর্তমানে পানি প্রবেশ করে এভাবে ভাঙ্গলে বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে গেলে এসব অঞ্চলের পরিবারগুলো থাকতে পারবে না। এমনিতেই করোনার প্রভাব তার মধ্যে নদী ভাঙ্গন ও বন্যা হলে মানুষকে বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে পড়বে। এ সময় সাথে ছিলেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তারসহ নেতাকর্মীরা।