নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের প্রায় ৩ একর জমিতে করা হয়েছে নিষিদ্ধ পপি চাষ। এতে স্থানীয় দুই কৃষকের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর থেকে পলাতক ঐ দুই কৃষক। তাদের আইনের আওতায় আনতে চলছে পুলিশি অভিযান। সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চর বানিয়াল গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে করা হয়েছে নিষিদ্ধ পপি (আফিম) চাষ। গত রবিবার পপি চাষের বিষয়টি নজরে আসে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গত রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে পপি চাষের বিপুল পরিমাণ আলামত জব্দ করে। পপি চাষের এ ঘটনায় জড়িত ২ জনের নাম জানিয়েছে সদর থানা পুলিশ। পপি চাষের সঙ্গে জড়িত বাংলাবাজার ইউনিয়নের কৃষক নিজাম (৩৩) ও খোরশেদ (৩৬)। নাম প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে বাংলাবাজার ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক নিজাম ও খোরশেদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা কৃষিকাজের পাশাপাশি এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এদিকে পপি চাষের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে এমন খবর পেয়ে অভিযানের আগেই রোপণ করা বেশির ভাগ পপি গাছ বিনষ্ট করে পালিয়েছে ঐ কৃষক ও তাদের সহযোগীরা। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন জানিয়েছেন, পপি গাছ রোপণ করার সঙ্গে কয়েকজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের আগেই জড়িতরা পালিয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে। সদর থানার ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় বাংলাবাজার ৩ ইউপি সদস্যের কথা আসলেও তাদের জড়িত থাকার সত্যতা মেলেনি।
মুন্সীগঞ্জে নিষিদ্ধ পপি চাষ, জড়িত দুই কৃষককে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান
আগের পোস্ট