নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদরে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে আতঙ্কে আব্দুল হক (৪৮) নামে একজন মারা গেছেন। এসময় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রোববার রাত ৮-১০টার মধ্যে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আগামী ২৮ নভেম্বর চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী আফছার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং বিদ্রোহী (আনারস প্রতীক) প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছিল। গত রোববার রাতে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায় নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূইয়ার সমর্থকদের ওপর। এসময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে। ভাঙচুর চালায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে। হামলায় নৌকার সমর্থক শরীফ, সাইফুল, বাবু হালদার, মনির ও রমজান গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এসময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে নৌকার সমর্থক আব্দুল হক মারা যান। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহত আব্দুল হকের স্ত্রী কল্পনা জানান, গত রোববার রাত ৮টার দিকে ঘরের ভেতর অবস্থান করছিলেন। সেসময় বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আখতারুজ্জামান জীবনের নির্দেশে তার লোকজন একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গুলিবিদ্ধ ইউসুফ ও সানি জানান, তারা বিস্ফোরণের শব্দে ও হামলার ভয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তাদের ওপর গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা। নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দীন ভুঁইয়া বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আখতারুজ্জামান জীবন হামলা চালিয়ে তার সমর্থকদের গ্রাম থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। এসময় তার সমর্থিত কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। অবস্থার অবনতি দেখে গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহাগ জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজন হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্য দুজনের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় চরাঞ্চলের ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খাঁন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।