নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নতুন আমঘাটা গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের ছোঁড়া ককটেলে প্রাণ হারালো ভাই। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম জালাল ব্যাপারী (৪৫)। সে নতুন আমঘাটা গ্রামের গনি বেপারীর ছেলে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এ খবর নিশ্চিত করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি থেকে আলু পরিবহন করতে স্থানীয়রা ট্রলি নামে একটি যান ব্যবহার করে থাকে। নিহত জালাল বেপারী ও দেলোয়ার হোসেন দেলু বেপারী দুইটি পক্ষ আলু পরিবহনের এই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ করে। সেই ট্রলির সিরিয়াল নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে দেলু তার চাচাতো ভাই জালালের শরীরে ককটেল নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থলেই জালাল বেপারীর মুখমন্ডল ছিন্নভিন্ন হয়ে মারা যায়। পুলিশ জানায়, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ চরাঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে এই ঘটনার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। জানা যায়, বছরের এই সময়টায় মুন্সীগঞ্জে আলু উত্তোলন চলে। মুন্সীগঞ্জ সদরের চরাঞ্চলের রাস্তা সরু হওয়ায় আলুর জমি থেকে আলু তোলার পরে বস্তায় ভরে স্থানীয় কোল্ডষ্টোরেজ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি ব্যবহার করা হয়। নিহত জালাল ও হামলাকারী দেলোয়ার হোসেন দেলু সিন্ডিকেট করে দীর্ঘদিন যাবৎ এই ট্রলি দিয়ে আলু আনা নেওয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব ছিলো। এই দ্বন্দ্বের জের হিসাবে গতকাল শনিবার সহিংসতার রূপ নেয় দুই ভাইয়ের মাঝে এবং প্রাণ হারায়। ঘটনার সময় অন্তত ১০ থেকে ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল মুঠোফোনে জানান, ট্রলি চালানোর সিরিয়াল নিয়ে দুই ভাইয়ের মাঝে বিরোধে এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে এবং একজন নিহত হয়। হামলায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এদিকে ককটেল হামলায় নিহত জালালের স্বজনদের আহাজারিতে স্তব্ধ গ্রামবাসী।
মুন্সীগঞ্জে ভাইয়ের ছোঁড়া ককটেলে ভাই নিহত
আগের পোস্ট