নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় শ্রমিক লীগের মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কর্মীরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই সংগঠনের সদস্য সচিব শেখ আরফান হোসেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন সাংগঠনিক কর্মকান্ড নির্দেশিকা অনুসারে পালন করতে। যেকোন প্রচার প্রচারণায় ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সাত্তারের নাম ও ছবি ব্যবহার করতে। সোহেল মোল্লাকে আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান নেতাকর্মীদের। কিন্তু সোহেল মোল্লা বলেন, এ সংক্রান্ত কোন পত্র তিনি পাননি। এসব বিষয়ে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গত ১১ আগস্ট জাতীয় শ্রমিক লীগের এক পত্রে এসব কথা উল্লেখ করে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পত্র প্রেরণ করে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক (সদস্য সচিব) শেখ আরফান। অন্যদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের পঞ্চসার ইউনিয়নের সভাপতি ছলিমুল্লাহ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকাশকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শোকজ করা হয়। সদর উপজেলার সভাপতি মোঃ সুমন বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস এর স্বাক্ষরিত শোকজপত্রে এই তথ্য জানা যায়। এই শোকজপত্র ১২ আগস্ট তাদের বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে শোকজ হওয়া দুই নেতা ছলিমুল্লাহ সেলিম ও মো. আকাশ বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে আমাদের শোকজ করা হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রমিক সংগঠনটির দাবী করা ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আক্কাস আলীকেও এ বিষয়টি অবগত করেননি। অন্যদিকে শ্রমিক সংগঠনের সহযোগী সংগঠন শিল্পায়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সালমান খান তিনি দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মুন্সীগঞ্জ জেলায়। হঠাৎ এই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আবির্ভাব হন জসিম উদ্দিন। এ বিষয়ে সালমান খান বলেন, আমি জাতীয় শ্রমিক লীগের শিল্পায়ন আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক। আমাকে না জানিয়েই আরেকজন ব্যক্তি যার নাম জসীম উদ্দিন তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ব্যানার করা হয়। এ বিষয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের শিল্পায়ন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আবুল কাসেম জানান, যেহেতু সালমান পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ দিয়েছেন সে মোতাবেক শিল্পায়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ এমনিতে চলে যায়। এদিকে জেলার শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আক্কাস আলী বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুন্সীগঞ্জ জেলার এই সংগঠনের ইউনিয়ন পর্যায়ে দুজন নেতাকে শোকজ করার বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি। শোকজের সিদ্ধান্তে কর্মীদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শোকজ যারা করেছে তা নিয়ম মেনে করা হয়নি। আক্কাস আলী আরো জানান, গত ১৮ জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরুর স্বাক্ষরিত এক পত্রে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা ছিল জাতীয় শ্রমিক লীগের অধীন সকল জেলা অঞ্চল সকল মহানগর, থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, ইউনিটসহ বিভিন্ন বেসিক ইউনিয়ন ও জাতীয় ফেডারেশন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কিন্তু কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত যেমন কমিটি ভাঙ্গা গড়া শোকজ করা, বহিস্কার করাসহ নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির মতো বির্তকিত সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ রুপে বন্ধ থাকবে। মুন্সীগঞ্জে কতিপয় নেতা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে কাউকে শোকজ আবার কাউকে বাদ দিয়ে নতুন নেতা বানাচ্ছেন, যা ভালো দিক নয়। এতে নেতাকর্মীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে কর্মীদের ক্ষোভ
আগের পোস্ট