নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে নিহত ভাইয়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন বোনেরা। হত্যাকান্ডের ১৭ দিনেও পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বরং, ঘাতক ও তাদের সহযোগীরা নিহতের স্বজনদের অব্যাহতভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। নিহত উজ্জ্বল মিয়াজী যমুনা ফিউচার পার্কে ঊষা এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতো, পাশাপাশি মাছের ব্যবসাও করতো। এছাড়াও সে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডেও জড়িত ছিল। খুনীরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নৌ ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
গতকাল শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে নিহত ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীর পরিবারবর্গের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় খুনীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত উজ্জ্বল মিয়াজীর বোনেরা।
এসময় তারা ব্যানারে থাকা নিহত ভাই উজ্জ্বল মিয়াজীর ছবি ধরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাই হত্যার বিচার দাবি করতে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উজ্জ্বল মিয়াজীর বড় ভাই মিষ্টার মিয়াজী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বোন- মেরী বেগম, সুমি বেগম, শিলা বেগম ও সীমা বেগমসহ অন্যান্য স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বজনরা জানান, গত ৪ মে রাতে একটি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে যান ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী। সেখানে নৌডাকাত কবির খালাশির নেতৃত্বে জজ মিয়া খালাশি, নাহিদ খালাশি, তুষার খালাশি, বাবলা ডাকাত, বাদলা বেপারীসহ ২০ থেকে ২৫ জন দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে উজ্জ্বল মিয়াকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও অদ্যাবধি কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের শেল্টারে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার না করায় সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত উজ্জ্বল মিয়াজী যমুনা ফিউচার পার্কে ঊষা এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতো, পাশাপশি মাছের ব্যবস্যাও ছিলো। সে এলাকায় ঈদগাহ মাঠের জন্য ওয়াক্ফ এস্টেটকে জায়গা দিয়েছে। এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার মানববন্ধন করে।