নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে রোজাতেও বাজারে প্রায় সব ধরনের ফলের দর লাগামহীনভাবে বেড়েছে। দামের উর্ধ্বগতি ছিল রোজার আগেই, রোজা শুরু হতে না হতেই সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দর আরও বেড়েছে। দর বাড়ার দায় যেন কারোরই নেই, সব তরফেই মিলছে কৌশলী উত্তর। তবে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য থেকে ঠিকই অধিক মুনাফা করছেন, বিপরীতে ভোক্তারাই পড়েছেন বিপাকে। গতকাল রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের শহরে রোজার পঞ্চম দিনেও ফল বিক্রির দোকানগুলোতে ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ফল। রমজান মাস আসলেই ফলের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে ক্রেতাদের। লকডাউন এবং রোজায় বাড়তি দামে সব ধরনের ফল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। মাল্টা, আপেল, আঙ্গুর, আনার, খেজুর, তরমুজ, আনারস, নাশপাতি, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, বেদানাসহ সব ফলের দাম বাড়তি। প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত, আঙ্গুর প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, আনার প্রতিকেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, খেজুর প্রতিকেজি ৮০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত, তরমুজ ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, নাশপাতি ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা, কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি, আনারস বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেয়ারা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বাঙ্গি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে কোন ফলের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। ফল বিক্রেতা সুমন জানান, লকডাউনের কারণে ফল আমদানির পরিমাণ কমেছে। তাই লকডাউনের কারণের ফলের দাম বাড়তি। পাইকারিতে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সে হিসাবে ফল বিক্রি হচ্ছে একটু বেশি দামে। বাড়তি দাম থাকার কারণেও ক্রেতারা কিনছেন। ফল কিনতে আসা ক্রেতা নিগার সুলতানা বলেন, প্রতিটা ফলের দাম বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। ফল ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরে একবার রমজান মাস আসে। দাম বেশি থাকার সত্ত্বেও ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছি। পরিবারের সবাই রোজা থাকে, শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ফল নেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা বলছে, সরবরাহ বাড়লে ফলের দাম কমে আসবে। লকডাউনে পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে ফলের দামটা একটু বেশী।