পুলিশকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক দ্রব্য ছুঁড়ে মারে ডাকাতরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারে স্বর্ণের দোকানে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুটি স্বর্ণের দোকান থেকে আনুমানিক ১শ ভরির বেশি স্বর্ণ ও ৪০ লক্ষাধিক টাকা লুট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিকরা। এছাড়া নদীপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক দ্রব্য ছুঁড়ে ডাকাতদল। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চিতলিয়া বাজারের ইজাদার রিপন মাহমুদ জানান, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে নদীপথে চিতলিয়া বাজারে আসে ১৮/২০ জন সদস্যের একদল ডাকাত। অস্ত্র দেখিয়ে প্রথমে বাজারের দুই নৈশপহরী ও পরে বনিক স্বর্ণ শিল্পালয় নামের দোকান ও সংলগ্ন বাড়ির লোকজনকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে নিখিল বনিক স্বর্ণের দোকান থেকে আনুমানিক একশ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৪০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী মনুনাগ স্বর্ণ শিল্পালয় থেকে ৬/৭ ভরি স্বর্ণ লুট করে তারা। খবর পেয়ে আমিসহ আরো কয়েকজন আসলে ততক্ষণে তারা পালিয়ে যায়। এসময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করে এবং একই সময়ে মসজিদে মাইকিং করা হয়। নিখিল বনিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের হিসাবরক্ষক প্রিয়া দাস বলেন, ‘রাতে বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম। প্রথমে দোকানে পরে আমাদের বাসায় আসে ডাকাতদল। তাদের কয়েকজনের হাতে অস্ত্র ছিল। আমরা ব্যবসা করি তাই আমাদের কাছে অনেক মানুষের স্বর্ণ ছিল। বাড়ির লোকজনকে মারধর করে সব স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে গেছে। আমাদের হাতে, গলায় থাকা অলংকারও নিয়ে গেছে।’ মনুনাগ স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক রনি নাগ জানান, তার দোকান থেকে ৬-৭ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায় ডাকাতরা। তবে ঘরে ঢোকার জন্য লোহার দরজা ভাঙতে না পারায় কেউ ঘরে প্রবেশ করতে পারেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব জানান, ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, নদীপথে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক দ্রব্য ছুঁড়ে মারেন তারা। তবে সেটি কারও গায়ে লাগেনি।