স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বললেন পুলিশ ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের চিতলিয়া বাজার স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্র ও স্বর্ণালংকারসহ ডাকাত চক্রের আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট। সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম। তিনি জানান, ডাকাতির ঘটনার পরই অভিযানে নামে পুলিশ। রোববার দিনভর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায় জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ৬৯ ভরি স্বর্ণ, ১৫ হাজার টাকা, একটি ম্যাগাজিনসহ পিস্তলের গুলি, চার রাউন্ড শটগানের গুলি ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে জব্দ করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট। ডাকাতির পরই এসব মালামাল এক দোকানদারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। পুলিশ সুপার আরও জানান, ডাকাত চক্রটি মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে ডাকাতি করে আসছিলো। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-ডাকাতদলের দলনেতা সাব্বির ওরফে হাত কাটা স্বপন (৪৯), আরিফ হাওলাদার (২৫), মোহাম্মদ আলী (৪০), মো. বিল্লাল (৩০), মো. আনোয়ার হোসেন (৩২), ফারুক খা (২১), মো. আফজাল হোসেন (৪৭) ও স্বর্ণ ক্রয়কারী দোকানদার মো. আক্তার হোসেন (৩২)। গ্রেফতারকৃতদের বাড়ি শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের চিতলিয়া বাজারে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনুমানিক ১০৭ ভরি স্বর্ণ ও ৪০ লক্ষাধিক টাকা লুট করা হয়েছে বলে জানান দোকান মালিকরা। পরে নিখিল বনিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক রিপন বনিক বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাত ১৮-২০ জনের নামে ডাকাতির মামলা করেন। ঘটনার তিনদিনের মাথায় ডাকাতদের গ্রেফতার করা হলো। এদিকে চিতলিয়া বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্র ও স্বর্ণালংকারসহ ডাকাত চক্রের আটজনকে গ্রেফতারের ঘটনায় জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিতলিয়া বাজারের ইজারাদার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিপন মাহমুদ। এই ব্যবসায়ী আরো বলেন, স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির তিনদিনের মাথায় ডাকাত গ্রেফতার। পুলিশ একদম ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে। মুখোশধারী ডাকাতদের এতো অল্প সময়ে গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করেছে জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত র্স্বণ ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন।