নিজস্ব প্রতিবেদক
আর মাত্র কয়েকদিন পরই ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ)। মুন্সীগঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো মুন্সীগঞ্জের পশু খামারিরা ও শখের বশে পশু পালনকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের পশু বিক্রির জন্য। এবার কোরবানীর পশুর হাট কাঁপাতে আসছে মুন্সীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ ইসলামপুরের টাইগার নামে বিশালকার ষাঁড়। কষ্টে লালনপালন করা শখের বসে পশুটির নাম রাখা হয়েছে টাইগার। ৮ ফিট দৈর্ঘ্যরে সাদা রংয়ের গরুটির গায়ে ডোরাকাটা চিহ্ন ও বাঘের মত গর্জনের কারণে নাম রাখা হয়েছে টাইগার। টাইগারকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন লকডাউনের কবলে পড়ায় এ বছর কোরবানির গরু প্রতি খামারিদের খরচ বেড়ে গেছে বহুগুণ। মুন্সীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার স্থানীয় খামারি মোঃ সুলতান আহমদ তার খামারে লালনপালন করেছেন উন্নত ব্রামাহা জাতের ষাঁড় গরুটিকে। গরুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফিট এবং ওজন প্রায় ২০ মণ এর অধিক। গরুটি এবার কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য দাম ধরা হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা। টাইগারকে খাওয়ানো হচ্ছে প্রাকৃতিক খাবার কাঁচা ঘাস। পাশাপাশি খইল, কুঁড়া, চালের খুদ, ভুষি, ভুট্টা, গমের ভুষিসহ নানা ধরনের পুষ্টিকর খাবার। টাইগারকে পেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগাযোগ করছেন পাইকাররা। টাইগারকে বিক্রির সময় কিছুটা দাম কমিয়ে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন খামারি। খামারি সুলতান আহমদ বলেন, এবছর লকডাউনের কারণে গোখাদ্যের দাম বেশী। তাই খরচও পড়েছে বেশী। নিজের সন্তানের মতো করে টাইগারকে বড় করা হয়েছে। টাইগারকে পেতে খামারি সুলতান তার ব্যবহৃত ০১৭৩২৩৩৮১৯৯ মোবাইল নাম্বারে সরাসরি ক্রেতাদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। যেকোন পশুর দাম সাধারণত ক্রেতা ও পশু সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে টাইগারকে বড় করে তুলেছেন। টাইগারকে মোটাতাজা ও আকর্ষণীয় করতে কোন প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি বলেও জানান টাইগারকে লালনপালনকারী খামারি সুলতান আহমদ। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোরবানির পশু টাইগারকে মোটাতাজা করা হয়েছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে। নিরাপদ মাংস পাওয়া যাবে। আমি আশাবাদী টাইগারকে বিক্রি করে খামারি এ বছর লাভবান হবেন।