নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের তালীমুত তানযীল মাদরাসা থেকে নিখোঁজের সাতদিন পরেও এখনো উদ্ধার করা হয়নি ওয়ালিউল্লাহ অপূর্ব (১২) নামের এক মাদরাসার ছাত্রকে। গত সোমবার ৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও বড় জামে মসজিদের তালীমুত তানযীল মাদরাসা সহপাঠীর সাথে ঝগড়া করলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মোঃ শাহাদাৎ ছাত্র অপূর্বকে পেটানোর পর থেকেই সে নিখোঁজ হয়। জানা গেছে, গত ৬ ডিসেম্বর তালীমুত তানযীল মাদরাসার নেজার শাখার শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর সাথে পোষ্টার নিয়ে অপূর্বের ঝগড়া বাঁধে। এ ঘটনায় ওয়ালিউল্লাহ অপূর্ব তার ওই সহপাঠীকে মারধর করলে শিক্ষক মোঃ শাহাদাৎ অপূর্বকে বেত দিয়ে পেটায়। এরপর অপূর্ব মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয়। এদিকে অপূর্ব মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা মোঃ দেলোয়ার হোসেন এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অপূর্বের নিখোঁজের সত্যতা স্বীকার করে তালীমুত তানযীল মাদরাসার পিন্সিপাল বলেন, নিখোঁজ অপূর্ব এর আগেও একবার এখান থেকে তার নানীবাড়ি চাঁদপুর চলে যায়। গত ৬ তারিখ মাদরাসার শিক্ষক শাহাদাৎ তাকে শাসন করলে তার কিছুক্ষণ পর থেকে অপূর্ব মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে অপূর্বের মা-বাবাকে অবগত করা হলে তারা থানায় একটি অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে নিখোঁজ অপূর্বের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাদরাসার শিক্ষক আমার ছেলেকে পিটিয়েছে। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। আমরা আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় খেঁ০াজ নিলেও অপূর্বের কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, নিখোঁজ ডায়রি করার পর আশপাশের সকল থানায় অপূর্বের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপূর্বকে উদ্ধার করতে আমাদের চেষ্টা চলমান রয়েছে।