নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট আবারো চালু করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এ প্রক্রিয়া চলমান রাখায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতেই করোনা ইউনিট আবারো চালু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজন রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি আলদি শাখার বাংলাদেশ কৃষিব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার মনির হোসেন কাজল। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দেওভোগ গ্রামে। নতুনভাবে করোনা ইউনিট চালু হওয়ায় এখন থেকে মুন্সীগঞ্জবাসী করোনায় আক্রান্ত রোগীরা ভর্তিসহ সব ধরণের চিকিৎসা পাবে বলে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের ছয়তলায় এ চিকিৎসার সব ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোপূর্বে করোনার প্রাদুর্ভাব কম থাকায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৫নং ও ৬নং দুটি কেবিনে মোট চারজনকে করোনার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জে করোনা ইউনিটে ব্যক্তি উদ্যোগে ইতোমধ্যে নানা রকমের সুবিধা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম উদ্যোগ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের করোনা ইউনিটের জন্য বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা উপকরণ ক্রয় করে দিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ এস. এম. সাখাওয়াত হোসেন শাহিন জানান, গতকাল বুধবার একজন করোনা রোগী ভর্তি করা হয়েছে। এখন এ রোগী মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের পূর্বপাশের কেবিনে রয়েছে। তবে তাকে খুব শীঘ্রই নতুন ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএমএর সভাপতি ডাঃ আখতার হোসেন বাপ্পি বলেন, গত মঙ্গলবার সির্ভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদের সাথে বৈঠক হয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনা ইউনিট চালু করার বিষয়ে। সেই হিসেবে গতকাল বুধবার আবারো করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখন মুন্সীগঞ্জে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটাই বেড়ে গেছে। সেই হিসেবে সকলকে করোনা সম্পর্কে আরো সচেতন হতে হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে ৫ শয্যার করোনা রোগীর সব ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এখন থেকে এখানেই এ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে।