নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ১১ই ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এক বিবৃতিতে- স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান; মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ, নির্যাতিত দুই লক্ষ মা-বোন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মনিবেদনকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ১১ই ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস- মুন্সীগঞ্জবাসীর বীরত্বগাঁথা আত্মপরিচয় ও গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী অভিযানের মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত হয় প্রিয় জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জ। মুন্সীগঞ্জের আকাশে সমহিমায় উত্তোলিত হয় লাল-সবুজের স্বাধীন পতাকা। হানাদার মুক্ত দিবসের এই মহিমান্বিত ক্ষণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান; মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ, নির্যাতিত দুই লক্ষ মা-বোন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মনিবেদনকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
তিনি বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির গৌরব, মর্যাদা, বিজয়, বিসর্জন, আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও বীরত্বের আখরে লেখা এক মহাকাব্য। রক্তের আখরে লেখা এই মহাকাব্যে মুন্সীগঞ্জবাসীর রয়েছে বীরত্বগাঁথা ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধে গেরিলাবাহিনীর বিরাট একটি অংশের অবস্থান ছিল বিক্রমপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুন্সীগঞ্জের অসংখ্য সাহসী সন্তান দেশমাতৃকার জন্য তাদের বুকে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে- বীরত্বের সাথে হানাদার বাহিনীর সাথে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে। আজকের এই দিনে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার স্বপ্ন-সাধ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতাকে প্রতিহত করে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত অঙ্গীকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মৃণাল কান্তি দাস এমপির বিবৃতি
আগের পোস্ট