নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় মুন্সীরহাটের সরকারি রাস্তা দখল করে রাস্তার উপরে বালুর পাইপ বসিয়ে অবৈধ বালুর ব্যবসা করছে একটি বিশেষ মহল। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন সরকারি অনুমতি ছাড়াই যানবাহন চলাচলের রাস্তার বিশাল অংশ দখল করে বালুর পাইপ বসিয়ে বালুর ব্যবসায়ে যারা বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে এখনো এর দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা কোন ব্যবস্থা করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। বছরের পর বছর এখানে এ ধরণের ব্যবস্থা চললেও কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারী নেই বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী অফিসটি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মুন্সীরহাট এলাকায়। আর এখান দিয়ে একটি খাল থেকে বালুর পাইপ টেনে নিয়ে আসা হয়েছে হাটের চলাচলের প্রধান সড়কের রাস্তার উপর। সেখান থেকে রাস্তার ওপর একহাতের মতো বালির বস্তা দিয়ে উঁচু করে পাইপ পূর্ব থেকে পশ্চিমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবেই সরকারি রাস্তা দখল করে নিয়েছে এখানকার বালু ব্যবসায়ীরা। কোন সরকারি অনুমতি ছাড়া এভাবে রাস্তা দখল করে বালুর ব্যবসা করার নিয়ম নেই বলে জানা গেছে। কিন্তু এখানকার বালু ব্যবসায়ীরা এভাবেই সরকারি জায়গার যানবাহনের প্রধান রাস্তা দখল করেই এখানে ব্যবসা করছেন বালু ব্যবসায়ীরা। কোন সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না বালু ব্যবসায়ীরা। ফলে এখানকার বালু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মুন্সীরহাট এলাকাটি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার শেষ সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। ভৌগলিকভাবে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে এই মুন্সীরহাট। সেই কারণে এ হাটের পথ দিয়ে এই ৫টি ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করে থাকে বলে জানা গেছে। সেই কারণে এ পথটি যেমন সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে, আবার সেই কারণে এ রাস্তার গুরুত্ব রয়েছে অনেকের কাছে। ব্যস্ততম এ রাস্তাটি যদি এভাবে কোন ব্যক্তি শুধুমাত্র নিজের লাভের জন্যই রাস্তাটি দখল করে বালুর ব্যবসায় মেতে উঠেন তবে তো আর কথা থাকে না। এর ফলে এ পথ দিয়ে যানবাহন চলাচলে নানা রকমের অসুবিধা দেখা দিয়েছে। রাস্তায় বালুর বস্তা দিয়ে পাইপ বসানোর কারণে এটি এখন উঁচু টিলার মতো হয়েছে। এ পথ থেকে বালুর পাইপ সরিয়ে নিতে এ পথের পথচারীরা দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।