নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, যতদিন প্রভাতে পূর্বাকাশে সূর্য উদিত হবে, যতদিন আকশে পূর্ণিমার চাঁদ উঠবে, ততদিন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষের কাছে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।
গতকাল ২৮ আগস্ট রবিবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা, গণভোজ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরহাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সাউথ আফ্রিকা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোক্তার মাতবর, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মকবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মন্ডল, ফয়েজ মেম্বার, মাসুম মিয়া প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলতে গিয়ে, স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে, অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলতে গিয়ে ১৪টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। যে মানুষটি বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়েÑ দুইবার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্মম-নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিলেন; গোপন সামরিক আদালতে বিচার করে ফাঁসিতে প্রাণদন্ড দিতে গিয়েছিল। তারপরও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের এদেশের কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। সে রাতে জাতির পিতাকে হত্যা করেই হত্যাকারীরা ক্ষান্ত থাকেনি, তাদের নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, পৈশাচিকতা ও বিভীষিকার শিকার হয়েছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা। দুর্ভাগ্য আমাদের, দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির যে মানুষটি সারাজীবন বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেলেন, স্বাধীনতা দিয়ে গেলেন সেই মানুষটিকেই হত্যা করা হলো।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশবাসীর জীবন থেকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কেড়ে নিতে নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে। তারা সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়, তারা হানাহানি সৃষ্টি করতে চায়। ২০০১ সালের পর সারাদেশে বিএনপি হত্যা-খুন অত্যাচার চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগের মানুষজন গ্রামে থাকতে পারেনি, মা-বোন নির্যাতিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের লোক ক্ষেতে আলু-পাট লাগিয়েছে ওরা কেটে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের সময় ওদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ হয়নি। তাই তাদেরকে বলবো উৎপাত করবেন না, উপদ্রব করবেন না, জনগণের শান্তি ও শৃঙ্খলা কেড়ে নেবেন না।
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বৈশি^ক মহামারি করোনার মধ্যে এদেশের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষের খাদ্য ও নগদ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারাবিশ^কে তাক লাগিয়ে দিয়ে এদেশের মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশি^ক সঙ্কটের মধ্যেও শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, মোলাকান্দি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রাম্য দলাদলির কারণে এই এলাকায় অনেক বিভেদ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত, মারামারি, হানাহানি এ এলাকার উন্নয়নকে অনেক বাধাগ্রস্ত করেছে। আপনাদেরকে কথা দিতে হবে এই এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। আমার কোনো পক্ষ নেই- আমার পক্ষ মানুষ- আমি মানুষের পক্ষে।