নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও পদ্মা সেতু উত্তর দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে সাপ্তাহিক গরু-ছাগলের হাট। উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন ও পদ্মা সেতু উত্তর থানার মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের নিজ এলাকা থেকে হাট-বাজার দূরে অবস্থিত হওয়ায় ইজারাদার শেখ মোঃ মতিনের আয়োজনে গড়ে উঠেছে এই যশলদিয়া-কবুতরখোলা সাপ্তাহিক গরু-ছাগলের হাট। সপ্তাহে প্রতি বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট বেচাকিনি চলে এই হাটে। অল্প সময়ের মধ্যে এই হাটের সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন জেলা-উপজেলার পাইকাররা গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে এখানে বিক্রি করতে আসেন। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর, উন্নতজাতের গাভী, বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ যাবতীয় মালামাল পাওয়া যায়। অন্যান্য হাটের তুলনায় এখানে আগত পাইকারদের থাকা, খাওয়া ও বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের ব্যবস্থা ও ট্রাক ও পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলারযোগে গরুসহ বিভিন্ন মালামাল আনা-নেয়ার জন্য সুব্যবস্থাও রাখছেন হাটের পরিচালনা কমিটি। সার্বক্ষণিক পশু ডাক্তার রাখাসহ যাতে হাটে জাল টাকা ছড়িয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ক্ষতি করতে না পারে সেইজন্য জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। হাট পরিচালনা কমিটি ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য হাসিলের স্বল্পমূল্য নির্ধারণ করেছে।
হাট পরিচালনা কমিটিতে রয়েছে হারুন অর রশিদ, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ, আঃ কাইয়ুম মিয়া, মোঃ মাসুদ শেখ, মোঃ সৈকত, মোঃ সামাদ মুন্সি, মোঃ নজরুল ভিস্তি ও নোয়াব ফকির।
হাটের ইজারাদার শেখ মোঃ মতিন বলেন, এ হাটে দূর থেকে আগত পাইকারদের জন্য থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রেখেছি এবং হাসিলের স্বল্পমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।