নিজস্ব প্রতিবেদক
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ও ঈদের চতুর্থ দিনে শিমুলিয়া ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রী চাপ কম থাকায় মাত্র ৭টি ফেরি সচল রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে তেমন কোনো চাপ দেখা যায়নি। যানবাহন কম থাকায় শুধু যাত্রী নিয়েই শিমুলিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি ফেরি ছাড়তে দেখা গেছে। যানবাহন শূণ্য রয়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সেপ্রেসওয়ে। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক বাণিজ্য মোঃ ফয়সাল জানান, যানবাহন কম থাকায় ফেরি সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ সময় যাত্রী নিয়ে ফেরি ছাড়তে হচ্ছে। এছাড়াও পদ্মায় তীব্র স্রোত অব্যাহত রয়েছে। এই নৌরুটে ফেরিগুলো গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত সময় নিচ্ছে। অপরদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, পুরো সড়ক ফাঁকা। নেই কোন যানবাহন, নেই যাত্রী। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম থেকে আসা কিছু লরি চলতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মহাসড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। ভবেরচর হাইওয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট কামাল উদ্দিন বলেন, ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কম। এছাড়াও কোন ধরনের ছোট ছোট যান যাতে রোডে আসতে না পারে সেলক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। তবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছোট যানবাহন দিয়ে কিছু যাত্রী গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।