বিশেষ সংবাদদাতা
রাজধানীতে যানবাহন চলাচল আরও বেড়েছে। রাস্তাঘাটে বের হলে এখন আর বোঝার উপায় নেই যে, নগরবাসী করোনাভাইরাসে আতঙ্কগ্রস্ত। এখনও পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল না করলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাক, লরি, জিপগাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশা অহরহ চলাফেরা করছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে মানুষের উপস্থিতিও অনেকগুণ বেড়েছে।
সরকারের নির্দেশনা মেনে ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে মার্কেট ও দোকানপাটও খুলেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন রাস্তাঘাট কিছুটা ফাঁকা থাকায় প্রতিটি যানবাহন দ্রুতগতিতে গন্তব্যে ছুটে চলেছে। আগের মতোই উচ্চ শব্দে বাজছে হর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে আজ জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক ৮৮৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এমনই এক পরিস্থিতিতে রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার করতে পারে বলে আগে থেকেই বলে আসছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত ৩ মে থেকে সচল হতে শুরু করে রাজধানী। গত ৫ মে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি ১১ দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। ওইদিন দেশে তখন পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক ৭৮৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। কিন্তু ছুটি বাড়ার সাথে রোগী ও সড়কে গাড়িও সেদিন বাড়ে।
এদিকে করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগের তুলনায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য। দরিদ্র দিনমজুর থেকে শুরু করে কোটিপতি সবাই মুখে মাস্ক পরে বের হচ্ছেন।