নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে জমে উঠেছে ছুরি-চাপাতির কেনাবেচা। পবিত্র ঈদুল আজহার মাত্র একদিন আগে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর কামারপাড়া ও ছুরি-চাপাতির দোকানিরা। ধারালো ছুরি-চাপাতি, দা-বঁটি, চাকু-ছেনি, কাতানি-কুঁড়ানিসহ কোরবানির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। শুক্রবার (৮ জুলাই) রাজধানীর নয়া বাজার, কাপ্তান বাজার ঘুরে কামার ও দোকানিদের এমন ব্যস্ততা দেখা যায়। নয়াবাজারের এক কামারশালায় দেখা যায়, তিন কর্মচারীর একজন চাপাতি তৈরি করতে শান দিচ্ছেন। অপরজন কয়লার আগুনে লোহা পোড়াচ্ছেন। আরেকজন ঠুকঠাক শব্দে হাতুড়ি দিয়ে গরম লোহা পেটাচ্ছেন। কথা বলে জানা যায়, গত ১৫ দিন ধরে দম ফেলানোর সময় পাচ্ছেন না তারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কাজ। নয়াবাজারের আরেক কামার স্বপন কর্মকার বলেন, ঈদ উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে চাপাতি ও বঁটি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাপাতি, বটি ও ছুরি তৈরির কাজ করতে হচ্ছে। তিনি জানান, সারা বছর চাপাতি, ছুরি, দা তেমন একটা বিক্রি না হলেও ঈদের আগ মুহূর্তে এগুলোর বিক্রি বেড়ে যায়। ফলে, তাদের ব্যস্ততাও বাড়ে কয়েকগুণ।
বিজয় মণ্ডল নামের আরেক কামার বলেন, সাধারণ সময়ে আমরা নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি বেশি তৈরি করি। তবে, কোরবানি ঈদের ১৫ দিন আগ থেকেই চাপাতি, ছুরি, দা, বঁটি তৈরির কাজ বেড়ে যায়।
এদিকে নয়াবাজারের ছুরি-চাপাতির দোকানি মোহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, ঈদের আগে চাকু, চাপাতি, বটির চাহিদা থাকে অনেক। দোকানে এখন শুধু এসব যন্ত্রপাতি বিক্রি করছি। আকার ও ধরণভেদে যন্ত্রপাতির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
কামার ও দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরু জবাইয়ের ছোরা বিক্রি হয় পিস হিসেবে। আর চাপাতি বিক্রি হয় কেজি হিসাবে। রেললাইনের লোহা দিয়ে তৈরি প্রতিটি চাপাতির দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। অন্যদিকে, গাড়ির স্প্রিংয়ের লোহার তৈরি চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া, এক কেজি লোহা দিয়ে বানানো বটি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছুরি ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা ও চাইনিজ চাপাতি সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।