নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসত বিল্ডিং নির্মাণকালে ঝর্ণা বেগম (৪৫) নামে এক নারী বাঁধা দিলে তাকে বেদম পিটিয়ে আহত করা হয়। গত সোমবার বিকেলে উপজেলা রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বালাশুর নতুন গ্রাম এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ঝর্ণা বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আহত নারীর ভাশুর বিল্লাল ডাফা বাদী হয়ে সাবেক মেম্বার আতিকুর রহমান বতু আকন (৫৫)সহ ৪ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও তার ছোট ভাই প্রবাসী জয়নাল ডাফার ক্রয়কৃত মালিকানাধীন মত্তগ্রাম মৌজার সম্পত্তি সাবেক মেম্বার আতিকুর রহমান বতু আকনসহ উত্তর বালাশুর নতুন গ্রাম এলাকার মৃত ইসমাইল আকনের ছেলে শফি আকন (৬০), মৃত আইনুদ্দিন ফকিরের ছেলে মানিক ফকির (৪৫) ও মৃত সালাম কাড়ালের ছেলে মোজাম কাড়াল (৪৮)গং জোরপূর্বক দখল করে রাখে। এ ব্যাপারে জয়নাল ডাফার পক্ষে স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে শফি আকন গংদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মুন্সীগঞ্জে পিটিশন মামলা নং-৪৮/২২ ধারা-১৪৫ ফৌঃ কাঃ বিঃ দায়ের করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গেল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বতু আকন গং আরো অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করতে থাকলে এতে ঝর্ণা বেগম বাঁধা দিলে বতু আকনের হুকুমে অন্যান্যরা তাকে এলোপাথারী লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার চুলে ধরে ও পরনের কাপড় টানহেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে দিয়ে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে খুন করার হুমকি দেয়।
আহত ঝর্ণা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ক্রয়কৃত মালিকানাধীন সম্পত্তিতে বতু আকনের হুকুমে শফি আকন আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিল্ডিং নির্মাণ করছে। আমি বাঁধা দিলে বতুর হুকুমে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং পরনের ব্লাউজ ও কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে আতিকুর রহমান বতু আকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে এখানে কাজ করছি।
চেয়ারম্যান মোঃ বারেক খান (বারী) বলেন, নালিশী জমিতে তিনজন মালিক আছে। তিনজনের উকিল আমি বসেছিলাম। একটি সুষ্ঠু সমাধানও করে দিয়েছি। পরে জয়নাল ডাফা গং বিষয়টি মানেনি। আর আমি কাউকে বিল্ডিং নির্মাণের কোন অনুমতি দেইনি।
শ্রীনগর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস/আই) সুজায়েত বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ঝামেলার মূল কারণ আলমগীর নামে এক লোক। তিনি তার অন্য দাগের সম্পত্তি বিক্রি করে নালিশী দাগের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়। তাতে এই ঝামেলা। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।