নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরের রাঢ়ীখাল পোস্ট অফিসটি এ এলাকার বহু লোকের স্মৃতিবিজড়িত একটি প্রতিষ্ঠান। রয়েছে অনেকের প্রেম ভালোবাসার অসংখ্য স্মৃতি। প্রিয় মানুষটির আবেগ আর অনুভূতি মাখা একখান পত্র পাওয়ার জন্য অনেকে প্রতিদিন একবার হলেও চিঠির বান্ডিলগুলোতে হাত দিয়ে যেতো যদি আসে আপন মানুষটির একখানা পত্র। স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর কাছে প্রবাসীর মায়ের আবদার বাবা স্কুল ছুটি হলো একটু পোস্ট অফিসে ঘুরে এসো দেখো আমার বাজানের কোন পত্র আছে নাকি। এমন অসংখ্য স্মৃতির আর অভিমানের ধারক ও বাহক এই পোস্ট অফিসটি। আধুনিক ও ডিজিটাল পৃথিবীতে যদিও পোস্ট অফিসের তেমন কোন কাজ নেই তারপরও এ পোস্ট অফিসটির খুবই বেহাল দশা। কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর সচেতনতার অভাবে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে ভবনটি। পুনঃসংস্কার না করলে ঘটে যেতে পারে প্রাণহানির মতো ভয়াবহ ঘটনা। আশেপাশের ইমারতগুলো এত চাকচিক্যময় হলেও এ ভবনটির কেন এ দুদশা জানতে চেয়েছিলাম পোস্ট মাষ্টার আলাউদ্দিনের কাছে। তিনি জানান, রাঢ়ীখাল (১৫৫১) পোস্ট অফিসটির নিজস্ব কোন ভবন নেই। এটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক অফিস, পরিষদ এটিকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে। আমাদের কোন বসার স্থান না থাকায় চেয়ারম্যান সাহেব একটি কক্ষ অফিসের জন্য দিয়েছেন। তিনি জানান, তিনি চার বছর যাবৎ আছেন আজ অবধি কোন কর্মকর্তা একবারও আসেননি। তিনি আরও জানান, আমাদের বেতন খুব কম, গ্রাম্য চৌকিদারের সমান বেতন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা পোস্টমাষ্টাররা খুবই অসুবিধার মাঝে দিনাতিপাত করছি। রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বারেক খান বারী বলেন, রাঢ়ীখাল পোস্ট অফিসের নিজস্ব কোন ভবন নেই। এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য ইউনিয়নের পুরনো গোডাউনের একটি কক্ষ পোস্ট অফিসের কাজের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।
রাঢ়ীখাল পোস্ট অফিসের বেহাল দশা
আগের পোস্ট