নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, করোনা ভাইরাসে সৃষ্টি সংকটে দুর্গত মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ না করে মিথ্যাচার করছে বিএনপি। অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে তারা।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিএনপি মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ‘লুটপাট আর চুরির জন্যই সরকার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায় না’ এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকটে মানবিক এই সংকটেও বিএনপি বক্তৃতা-বিবৃতি আর মিথ্যাচারের অপরাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে বিএনপি’র উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দুরাবস্থাগ্রস্থ মানুষকে সহায়তা করার মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যের আগ্রহ প্রকাশ করতে পারতো তারা। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে এই সংকটে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ না করে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোয় ব্যস্ত রয়েছে বিএনপি। এই বিপর্যয়ের মধ্যেও এভাবে অরাজনৈতিক ও হিংসাত্মক বক্তব্য প্রদান কোন বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সমগ্র পৃথিবী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে উন্নত রাষ্ট্রসমূহও। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও প্রাণঘাতী এই মহামারীতে আক্রান্ত। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষা কীট ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে মানুষকে ঘরবন্দী রাখার মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত অসংখ্য মানুষকে না খেয়ে মরতে হয়েছে। বৃহত্তম চট্টগ্রাম অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মারা যায়, মানুষের লাশ পর্যন্ত দাফন করতে পারেনি। জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী সময়েও খাবার কষ্টে মানুষকে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেসময় দেশের একটি এলাকার দুর্যোগ যেই বিএনপি সামাল দিতে পারেনি, সেই বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছে বর্তমান সরকার। সরকার ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করছে এবং একইসাথে সমাজের খেটে খাওয়া কর্মহীন ও অসহায় দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কোন অনিয়ম যাতে না হয় বা কেউ যেন ত্রাণ চুরি করতে না পারে সেজন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। কোথাও কোন অনিয়ম হলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিরা সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা উল্লেখযোগ্য কোন ধরনের সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে প্রতিদিন বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্য দিয়ে সংকটময় এই সময়েও অপরাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। তারা মিথ্যাচার আর অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।