নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরের তন্তরে রুসদি উচ্চ বিদ্যালয়ে শতাধিক মোটরসাইকেলযোগে মহড়া দেওয়ায় ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। গত ২৩ জুলাই বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তন্তরের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও হানা গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন বাতিল চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করাকালীন হঠাৎ করেই বিকট শব্দে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল বিদ্যালয়ের সীমানায় প্রবেশ করলে ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বিদ্যালয়ের দরজা জানালা আটকে দিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বহিরাগতরা পালিয়ে যান। বহিরাগতদের বিদ্যালয়ে প্রবেশের সংবাদটি ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং অসংখ্য অভিভাবক এসে জড়ো হন।
উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসলেও পরাজিত প্রার্থীদের পক্ষে পূর্বে তাদের সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তারা শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা চালায় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের অভিভাবকেরা ভোট দিয়ে বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দকে নির্বাচিত করেছেন। আমরা বিদ্যালয়ের সীমানায় কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখতে চাইনা। বহিরাগতরা বিকট শব্দে একযোগে হর্ণ বাজিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে আমরা ভয়ে স্কুলের দরজা-জানালা বন্ধ করেছিলাম। প্রশাসন আসার পর বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়। তন্তর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, নির্বাচনের পূর্বে তারা কেউ ভোটে আসেননি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইস্যু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস ডেকে আনছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে নির্বাচন করার তাগিদ দিয়ে বলা হয়, উক্ত সময়ে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে বিদ্যালয়ের সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারা নিজেদের আখের গোছাতে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রমকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে হানা গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, মোটরসাইকেলের মহড়া কার নেতৃত্বে হয়েছে জানি না। বিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে আমরা কাজ করতে চাচ্ছি।
শ্রীনগর থানার এসআই প্রবাস কুমার বসু জানান, মোটরসাইকেল মহড়া আমি দেখিনি। তবে পরে বিষয়টি শুনেছি।