নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মার প্রচন্ড স্রোতে শিমুলিয়া ৩নং রোরো ফেরি ঘাটটি নদীতে বিলীন হওয়ার ১২ দিন পর পুনরায় চালু করা হয়েছে। এ ঘাটটি বিলীন হওয়ার ৯ দিনের মাথায় গত ৬ জুলাই ৪নং ফেরি ঘাটটিও পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটের দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ ও সীমিত আকারে চালু করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার পর ৩নং রো রো ফেরিঘাটটি চালু হয়েছে। ১৩ দিনের মাথায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ রো রো ফেরিঘাটটি চালু করতে সক্ষম হয়। ফলে এ নৌ-রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও যানবাহন চালক এবং শ্রমিকদের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। ৮টি ফেরি চলাচল করছে এ নৌরুটে। তবে বাস কম থাকায় ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীরা পড়েছে ভোগান্তিতে। এদিকে ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোটে করে কর্মস্থল ঢাকামুখী মানুষ এখনো ফিরছে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে। ঘাটে এসে এসব যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস সঙ্কট সৃষ্টি করছে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। তাছাড়া যাত্রীদের নিকট থেকে ভাড়া দ্বিগুণ নেওয়া হলেও গাদাগাদি ও ঠাসাঠাসি করেই বাসে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ ব্যাপারে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশকে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ টিআই হিলাল উদ্দিন জানান, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। তারপরও কিছু মানুষ যায় হুমড়ি খেয়ে, আসে হুমড়ি খেয়ে। অনেকে গাড়ির জানালা দিয়েও প্রবেশ করে। শিমুলিয়া সকালে ফাঁকা থাকলেও দুপুরে কিছুটা চাপ ছিল। এ পাড়ে গাড়ির চাপ নেই, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গাড়ির চাপ আছে। আর দুইদিন হয়তো চাপ থাকবে এরপর ঠিক হয়ে যাবে। বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারি ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ জানান, নদীতে স্রোতের চাপ কমে যাওয়ায় ও ৩নং রো রো ঘাটটি পুনরায় চালু হওয়ায় ফেরি পারাপারে আগের তুলনায় সময় কম লাগছে। বহরের নিয়মিত ১৬টি ফেরির মধ্যে ৩টি রো রো, ৩ টি কেটাইপ ও ২টি ছোটসহ মোট ৮টি ফেরি চলাচল করছে।