নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর পরিত্যক্ত পলিব্যাগ ফেলা হচ্ছে পদ্মা নদীতে। ফলে পদ্মার পানি দূষিত হচ্ছে। প্রায়ই উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের সিংহেরহাটি গ্রাম সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ফেলা হয় আইসক্রিমের পরিত্যক্ত পলিব্যাগ আবর্জনা। আর এসব পরিত্যক্ত পলিব্যাগগুলো ফেলতে দেখা যায় মীরা আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের। মীরা আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর শ্রমিক মো. মানিক হোসেন জানান, এগুলো পদ্মা নদীতে ফেলা হবে। যদি পদ্মার আশপাশে ফেলা হয় তাহলে বাচ্চারা এ পরিত্যক্ত আইসক্রিমগুলো কুঁড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। যার ফলে পদ্মায় ফেলা হচ্ছে। ট্রলার চালক আবু কালাম জানান, টাকার বিনিময়ে এগুলো ফেলতে আসছি। আর এ পলিব্যাগ আবর্জনা পদ্মায় ফেলা অবৈধ বা নিষিদ্ধ সেটা জানতাম না। খবর নিয়ে জানা যায়, ২৫ বছর যাবৎ পদ্মায় অবৈধভাবে এ আইসক্রিম ফ্যাক্টরী পরিত্যক্ত পলিব্যাগগুলো ফেলে আসছে। এ বিষয়ে কথা হয় মীরা আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর ব্যবসায়ী (পার্টনার) মো. মকবুল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, আমরা ২৫ বছর যাবৎ আইসক্রিম ফ্যাক্টরী দিয়েছি। তবে এই প্রথম পরিত্যক্ত পলিব্যাগগুলো পদ্মায় ফেলার জন্য এনেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা আপনাকে (প্রতিবেদককে) দেখে চলে যাচ্ছি আর ফেলবো না। উপজেলায় ঘুরে ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম ফ্যাক্টরী। বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি করা হয় নিষিদ্ধ আইসক্রিম। তবে এসকল অবৈধ আইসক্রিম ফ্যাক্টরী বন্ধে বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় তৎপর নেই প্রশাসন। সচেতন মহল বলছেন, এসকল অবৈধ আইসক্রিম ফ্যাক্টরী বন্ধে যদি প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতেন তাহলে ক্যামিকেলযুক্ত বিষাক্ত আইসক্রিম তৈরী বন্ধ হতো। সেই সাথে পদ্মায় এভাবে আইসক্রিমের পরিত্যক্ত পলিব্যাগ আবর্জনাগুলো ফেলে পানি দূষণ করা হত না। এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, পদ্মায় নিষিদ্ধ আইসক্রিমের পরিত্যক্ত পলিব্যাগ আবর্জনা ফেলার বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি এবং আমাদের চোখেও পড়েনি। তবে আজ জানলাম। আমরা খবর রাখছি দ্রুত এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।