নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. আল ইসলাম, পিতা- মৃত জয়নাল তায়ানী, মাতা- আলোকজান বেগম, গ্রাম- হলদিয়া ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলা শ্রমিক লীগ, জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় লৌহজং থানায় ফেসবুক আইডি সনাক্ত করে একটি সাধারণ ডায়েরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
মো. আল ইসলাম লৌহজং উপজেলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকার সুপরিচিত মুখ তিনি। তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে স্থানীয় একটি অসাধু চক্র এই অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ প্রকাশ করেন তিনি।
এলাকাবাসী মো. স্বপন মাদবর, মো. নমীদুল ইসলাম, বুলেট হোসেন জাহাঙ্গীর জানায়, মো. আল ইসলাম লৌহজং উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সাথে রাজনীতি চর্চা করে আসছেন তিনি। তার কাছের প্রতিবেশী হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জামেল হক, হলদিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন দেওয়ান। তাদের সাথে সবসময়ে দলের যেকোন কাজে তাকে দেখা যায়। আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসাবে এলাকায় তাদের যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। এলাকাবাসীর কল্যাণে তিনি নানাবিধ তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। এ কারণে এলাকার একটি অসাধু মহল তার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে হেনস্তা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির কর্মী চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপের মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য পরিবেশন করে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে তাকে কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে।
এই অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে মো. আল আমিন বলেন, আমি গত ২০১০ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সমর্থনে ইউপিতে সাধারণ সদস্য আপেল প্রতীকে নির্বাচন করেছি। আমি রাজনৈতিকভাবে কয়েকটি সংগঠনের পদ নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। জনপ্রিয় হয়ে উঠি সেটা ঐ গোষ্ঠীটি চায় না। আর সে কারণেই আমার প্রতি তাদের এত গাত্রদাহ। ষড়যন্ত্র বিষয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি কমিটিতে আমার সহ-দপ্তর সম্পাদক পদ দেখে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে আমার মান-সম্মান নষ্টের পাঁয়তারা করেছে। যদিও এর সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে বিভিন্ন মনগড়া কল্পকাহিনি প্রচার করে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে তৎপর রয়েছে দুষ্টু মহলটি।
এ সমস্ত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি এ বিষয়ে সজাগ থাকার ও বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
লৌহজং উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী মো. রহুল আমিন শেখ বলেন, আল ইসলাম আমার শ্রমিক লীগের কমিটিতে দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছে। সে আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী বা নেতা। দলের সকল কর্মকান্ডে তাকে পেয়েছি। এছাড়া তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো করে চিনি। যারা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তাদের উদ্দেশ্য ভাল না। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।