নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা ও ভরাট করার উৎসব চলছে। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না জমি থেকে এই মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের কাজ। প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হচ্ছে। ফলে স্থানীয় মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লৌহজংয়ের বৌলতলী পয়সা পশ্চিমপাড়া, গাঁওদিয়া, পালগাঁও, কনকসার, কাহেতারা, খিদিরপাড়া, কমলা ইউনিয়নসহ কুমারভোগ জমির মাঝে পাইপ লাগিয়ে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ। প্রশাসনের চোখের সামনে এসব কর্মকান্ড করছে প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মী।
গত মাসে উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নে কৃষিজমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে বৌলতলী পয়সা পশ্চিমপাড়ার পাশে ভরাট করার অপরাধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াস শিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই ব্যক্তিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আবারো একই স্থানে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রভাবশালী ড্রেজার মালিক দেলোয়ার, আল আমিন, বাদশা খান পুনরায় ড্রেজারের মাধ্যমে কৃষিজমি কেটে ভরাট করছে।
স্থানীয়রা জানান, এই প্রভাবশালী ড্রেজার মালিকরা বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করেই ড্রেজার চালায়। আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো নির্যাতনের শিকার হতে হবে। প্রশাসনের লোকজন তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা না করলে প্রতিদিন ড্রেজার কিভাবে বেড়ে ওঠে।
বেজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক ইকবাল মৃধা বলেন, বেজগাঁও ইউনিয়নের নদী ভাঙন এলাকার কিছু ভরাট কাজ চলছে। তবে ফসলি জমি কাটা হচ্ছে না।
বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মালেক শিকদার বলেন, আপনাদের নিউজ করে যান এবং প্রশাসন এসে জরিমানা করে। মাটি কাটা কাজ কয়েকদিন পর আবার চলতে থাকে। আমি চাই সঠিক পদক্ষেপ যাতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যে কাজটি করছে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে কনকসারের ড্রেজার মালিক মিলন ও হাবিব খান, বৌলতলী ইউনিয়নের আল আমিন, বাদশা খান ও দোলোয়ার খানকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াস শিকদার জানান, কৃষিজমি কেটে মাটি ভরাটের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লৌহজংয়ে একাধিক স্থানে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি কেটে মাটি ভরাট
আগের পোস্ট