নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের ধারার হাট গ্রামের মনু হাওলাদারের বাড়ির কাছে কাঠের পুলটি যেন দিনে দিনে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই কাঠের পুলটি আজ থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর আগে অন্য এক জায়গা থেকে এনে এখানে স্থাপন করা হয়। প্রতিদিন ৬/৭ বাড়ির প্রায় হাজার লোকের যাতায়াত এই পুল দিয়ে। দিনে দিনে ব্যবহার করার কারণে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। বছর দুয়েক আগে এই পুলটি দিয়ে যাতায়াত করেছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুস সালাম মোল্লা। হঠাৎ করে ৪/৫ জন লোক নিয়ে ভেঙ্গে পড়ে সবাই গুরুতর আহত হন। এর আগে শুরপাড়া গ্রামের জয়নাল ডাক্তারের ছেলে আলী আরশাদ গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকেও তার পা ঠিক করতে পারেননি। হাজী মতিউর রহমান হাওলাদার বলেন, এই কাঠের পুল দিয়ে সহস্রাধিক লোক যাতায়াত করে থাকে। তবে মেরামতের অভাবে এখানে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সামান্য কিছু বরাদ্দ দিলেও সেই টাকা দিয়ে মেরামত করা সম্ভব হয় না। তাই স্থায়ীভাবে সমাধান হচ্ছে পাকা ব্রিজ করা। একই গ্রামের বাসিন্দা মো. জুলহাস শেখ বলেন, আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে এই পথে যাতায়াত করে থাকি। কিন্তু এই কাঠের পুলে উঠে মনে হয় এখনই ভেঙ্গে পড়বে। তাই অনেক কষ্ট করে পার হই। অতি তাড়াতাড়ি এই পুলটিকে পাকা ব্রিজে রূপান্তরিত করা হোক এটাই আমাদের এলাকাবাসীর একমাত্র দাবি। স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য শাহীনা বেগম বলেন, আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে প্রতিবছরই বলে থাকি তিনি যে বরাদ্দ দেন আর আমরা জনগণের কাছ থেকে কিছু টাকা তুলে তা দিয়ে কোনরকম মেরামত করে থাকি। তবে তা বেশিদিন টেকসই হয়না। অত্র এলাকার জনগণ এখানে পাকা ব্রিজ করার প্রায়ই দাবি তোলেন। বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মালেক শিকদার দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজকে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাঠের পুলটির ব্যাপারে আমি অবগত আছি। এখানে কাঠের পুলের বদলে পাকা ব্রিজ করার জন্য পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।