নিজস্ব প্রতিবেদক
লৌহজংয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ির সীমানা প্রাচীরসহ বসতঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ক্রয়কৃত জমির সাইনবোর্ড উঠিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় লৌহজং উপজেলার পূর্ব শিমুলিয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
থানায় বেলাল হোসেনের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি একই গ্রামের সামসুদ্দিন আহাম্মেদের কাছ থেকে গত ২০২১ সালে শিমুলিয়া মৌজার এস এ ও সিএস ৫২০/ আরএস -৭৪৩ নং দাগে ৪৫ শতাংশ জমি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বায়না করেন। চলতি বছরের রেজিস্ট্রি বায়নার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই বেলাল হোসেন বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তার বায়না সূত্রে ক্রয়কৃত জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন সামসুদ্দিন আহাম্মেদকে। কিন্তু সামসুদ্দিন আহাম্মেদ বেলাল হোসেনের বায়না সূত্রে ক্রয়কৃত সম্পত্তি লিখে না দিয়ে তারা ভোগদখল করার পায়তারা করতে থাকে। এদিকে বেলাল হোসেন এলাকায় না থাকার সুবাদে তার বায়না রেজিস্ট্রি সূত্রে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে একচালা টিনের ঘর নির্মাণ করে এবং কাটা তার দিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরী করে। এ খবর পেয়ে বেলাল হোসেন গত শনিবার বিকেলে এলাকায় এসে তার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে ঘর তুলতে ও কাটা তারের সীমানা তৈরী করতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ মো. সাব্বির হোসেন, মো. আলতাফ খান, হান্নান পাঠান, মো. কাইয়ুম ও সাদ্দাম হোসেনসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেলাল হোসেনেকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে নিজ বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এই সুযোগে সন্ত্রাসী বাহিনী বেলাল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে তার সীমানা প্রাচীরসহ ঘর ভাংচুর করে এবং বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে বেলালসহ বাড়িতে থাকা লোকজনের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। তারা যাওয়ার সময় বেলালের ক্রয়কৃত জমিতে লাগানো দুটি সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে যায়। বাড়ির আশপাশের লোকজন এসে সন্ত্রাসীদের লাগানো আগুন নিভিয়ে ফেলে। এই বিষয়ে মো. বেলাল হোসেন বাদি হয়ে লৌহজং থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর এই বিষয়ে জানান, এমন একটি লিখিত অভিযোগ আমি গত শনিবার রাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।