নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লৌহজং জোনালে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। লৌহজংয়ের ১০টি ইউনিয়নকে ৫টি ফিটারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি ফিটারে ১ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও লোডশেডিং হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে বিদ্যুতের ভোগান্তিতে মানুষ। কোনো কোনো ফিটার একটানা ৩ থেকে ৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে। সকাল ৭টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ৬ বারে সাড়ে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে বলে জানা যায়। কোন কোন এলাকায় সারাদিন চলছে লোডশেডিং।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহিণী বলেন, এমনিতেই প্রচন্ড গরম তারপর ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ যায় আসে। এতে করে বয়স্কদের নিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বাচ্চারাও ঘামাচ্ছে গরমে।
লৌহজং-বেজগাঁও সাংবাদিক মো. সোহেল রানা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ বৈষম্য করছে। কোন কোন ইউনিয়নের বিদ্যুৎ নিয়মিত চলছে। আমার এলাকায় লোডশেডিং বেশি দুঃখজনক।
এছাড়া জুয়েল শেখ, আল আমিন, নূরনবী, তপন বেপারী বলেন, সরকার প্রতিদিন ২ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলেছেন অথচ ১ ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হচ্ছে। এমন যদি প্রতিদিন হয় তাহলে আমাদের বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট বাচ্চাদের গরমে খুব সমস্যা হয়ে যাবে।
গাঁওদিয়া ইউনিয়নের হাড়িদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম বলেন, ১ ঘণ্টা বিদুৎ থাকছে ২ ঘণ্টা থাকছে না। এতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
ডহরি গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, বারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে আমার বাসার ফ্রিজে থাকা মাংসের বরফ ছেড়ে দিচ্ছে। এভাবে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করলে ফ্রিজের মাছ, মাংস, সবজি নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে লৌহজং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম নিশীথ কুমার কর্মকার জানান, লৌহজং উপজেলায় বণ্টন অনুযায়ী ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও ১ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে। তার কাছে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দেশের ন্যায় সঠিকভাবে বিদ্যুৎ বন্টন করা হচ্ছে। এটা জাতীয় সমস্যা। আমার তেমন কিছু করার নাই। তিনি বলেন, বেজগাঁও ইউনিয়নে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে এর সঠিক কোন তথ্য আমার কাছে নাই।