নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় পদ্মা সেতুর অবকাঠামো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে লৌহজং উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা পদ্মা সেতুর দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। চলতি মাসের ১০ তারিখে পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান বসানোর ফলে পদ্মা সেতুর পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। এরপর থেকেই সেতুর উত্তর প্রান্তে লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট ও পুরাতন মাওয়া ঘাট এলাকায় দিনদিন ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে ভ্রমণপ্রেমীরা দলবেঁধে ছুটে আসছেন সেতু এলাকায়। ফলে মাওয়া টোলপ্লাজা থেকে মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট ও শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকা যানজটে রূপ নিচ্ছে। দর্শনার্থীরা অনেক রাত পর্যন্ত ৩-৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এ আলোচনার প্রেক্ষিতে লৌহজং থানার ওসি পদ্মা সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভার উপদেষ্টা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গণি তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মু. রাসেদুজ্জামান, উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান মূনীর হোসেন মোড়ল, বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাসুদ খান, কনকসার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্থানীয় সমকাল সংবাদদাতা ও লৌহজং প্রেসক্লাবের সভাপতি উপজেলার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বন বিভাগের রোপিত বিশাল আকারের গাছগুলো সড়কের মাঝে বেঁকে চলে আসায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন। আর এসব গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায়শই যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে জানান। এ সমস্যার প্রতিকারের জবাবে (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ গাছ চিহ্নিত করে সেসব অপসারণের আশ্বাস দেন।
লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা
আগের পোস্ট