নিজস্ব প্রতবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়ার বাসিন্দা একই পরিবারের তিন সদস্য মিলে প্রতারণা করেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ভুয়া সমবায় সমিতির নাম করে ২১ পরিবারের একুশে সদস্যের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করছেন একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা এবং তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সমিতির নাম করে গ্রামের ১। সাধন রানী (৩৫) ২। নীল কমল মালো (৪৫) ৩। সরদ্বীপ মালো তিনজন মিলে দীর্ঘ একবছর কনকসার জেলে পাড়ার সাধারণ অল্পশিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে নামে/বেনামে সমিতি সাপ্তাহিক, মাসিক কিস্তি তুলতেন এবং তাদের কাছে টাকা জমা রাখতেন। দূর্গাপূজার সময় সমিতি ভেঙ্গে স্ব-স্ব সদস্যদের নিকট প্রাপ্ত টাকা বুঝিয়ে দিতেন। গত ২০১৭ সালে সমিতির মেয়াদ শেষ হলে টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। টাকা পরিশোধ না করে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে এই গ্রামের অনেক মানুষকে। সমিতির সদস্যদের মধ্যে যারা টাকা চায় তাদেরকে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
সূচি রানী মালো বলেন, আমাদের এলাকার অনেক মানুষের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ থেকে বিভিন্ন অপরাধে মামলা করেছে সাধন রানী, প্রায় ৭টি আছে বর্তমানে। আমার ছেলে প্রবাসী তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিচারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে সাধন রানীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমি এক উকিলের সাথে তার অফিসে কাজ করি। আমার সাথে দেখা হলে আমি আপনাকে আরো বিস্তারিত বলবো। আমার সাথে দেখা করুন।
কনকসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বিদ্যুৎ আলম মোড়ল বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি। তাদের পাশে থেকে সাহায্য করবো। তবে সমিতির সকল সদস্যদের আমি আইনের সাহায্য নিতে বলেছি। তিনি আরো বলেন, আমি শুনেছি সমিতির টাকা ফেরত না দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে জেলে পাড়ার অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-তায়াবীর বলেন, কনকসার জেলে পাড়া থেকে সূচি রানী মালো (৬০) নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রকৃত তথ্য যাচাই বাছাই করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। অপরাধী যত প্রভাবশালী হোক কোন ছাড় পাওয়ার সুযোগ নাই।