নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব শিমুলিয়া গ্রামে অবৈধ বালুবাহী মাহিন্দ্রা চলাচলের কারণে রাস্তার অবস্থা নাজেহাল। শিমুলিয়া বাজার হতে হলদিয়া বাজার ব্রীজ পর্যন্ত যে সরকারি পাকা রাস্তা আছে উক্ত রাস্তার পাশে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত বালুর ব্যবসা করে আসছে কুমারভোগ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জুন্নু মেম্বার। এই ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত পরিবহন মাহিন্দ্রা, টলি চালিয়ে সরকারি রাস্তার ক্ষতি ও পরিবেশ নষ্ট করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত জুন্নু মেম্বার। এ বিষয়ে সরকারি দপ্তরে বারবার অভিযোগ করার পরেও কোনো সমাধান হয়নাই। রাস্তার দু’পাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় রাস্তা দিয়ে বালু বহনকারী একটি মাহিন্দ্রা উঠলে একটি সাইকেল যাওয়ার মতো জায়গা থাকে না। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীকে জিজ্ঞেস করলে এলাকাবাসী জানায়, কয়েক বছর যাবত অবৈধ বালু ব্যবসার কারণে আমাদের বাড়ির আশেপাশে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করার মতো পরিবেশ নেই। সামান্য বাতাস হলে আমাদের ঘরের ভিতরে বসবাস করার পরিবেশ থাকে না। বিছনায় বালু, খাবারে বালু, আমরা খুবই দূর্ভোগে আছি। সাবেক সাঈদ মেম্বার জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই ব্যবসা করে আসছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন পরিত্রাণ পাইনি। এ নিয়ে বারবার পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু জুন্নু মেম্বারের হাত অনেক উপরে। এই ভয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। এ নিয়ে এলাকায় একটি গণস্বাক্ষর হয়। অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার যদি আমাকে আদেশ করে এ ব্যাপারে তাহলে আমি মাহিন্দ্রা চলাচল বন্ধ করে দিবো। আমিও সরেজমিনে দেখেছি মাহিন্দ্রা চলাচলের কারণে সরকারি রাস্তাগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি খতিয়ে দেখবো। এলাকাবাসীর একটাই দাবি, অবৈধ এই বালুর ব্যবসা বন্ধ করা হোক না হয় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হোক। আমরা এলাকাবাসী এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাই।
লৌহজংয়ে বালুবাহী মাহিন্দ্রা চলাচলের কারণে সরকারি রাস্তার বেহাল দশা
আগের পোস্ট