নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন, খোলা সয়াবিন তেলের অভাব বলেছেন অনেক ক্রেতা। তাদের অভিযোগ, পাইকারি দোকানের মালিক তেলের অভাব দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে বেশি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছে। গতকাল বুধবার লৌহজং উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক বাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানে তেল কিনতে গেলে তেল নেই বলে জানান বিক্রেতা /দোকানদার। আমরা তেল কোথায় পাবো যদি কোম্পানি না দিয়ে যায়। অন্য কোথাও দেখুন। এছাড়া বিভিন্ন বাজারে খুচরা ও পাইকারি দোকানে হাফ লিটার তেলের বোতল ছাড়া দেখা মিলছে না সয়াবিন তেলের। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রত্যেক দোকানদার তেল মজুদ করে রেখেছে।
লৌহজং উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ী জানান, পাইকারি দোকান মালিকগণ গোডাউনে বা বাড়িতে তেল মজুদ করে রেখেছে। যদি পাইকারি দোকান মালিকদের বাড়িগুলো খুঁজে দেখা যায়, তাহলে মজুদকৃত তেল পাওয়া যাবে। বিশেষ করে লৌহজংয়ের ঘৌড়দৌর বাজারের মুদি দোকানদার গৌতম শাহ, রতন শাহ, গোপালবনী, বিজয় সরকার, বিজয় সাহা তাদের নিজ বসতবাড়িতে তেল মজুদ আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে লৌহজং উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. নাজমুল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
লৌহজং উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) মো. ইলিয়াস শিকদার সয়াবিন তেলের অভাব বিষয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক দোকান মালিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন আমরা কোম্পানিকে টাকা দিয়ে রেখেছি কিন্তু কোম্পানি তেল পাঠাচ্ছে না। তবে আমরা নজর রাখছি অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। মজুদ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা। একইসঙ্গে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়।