নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাওয়া মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের রায় ফার্মেসীতে ভুয়া ডাক্তারের সাইনবোর্ড টানিয়ে নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে বিলি করা, ফার্মেসীতে রোগী দেখা, চিকিৎসা ও ঔষধ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিমল চন্দ্র রায় চন্দনের বিরুদ্ধে। আসলে তিনি প্রকৃত ডাক্তার নন। কোন ডাক্তারের প্রশিক্ষণ নেই তার কাছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লৌহজং মাওয়া মৎস্য আড়ৎ সংলগ্ন এলাকায় রায় ফার্মেসীতে ডাক্তার, সাইনবোর্ড আছে। এছাড়া ভিজিটিং কার্ডের ব্যবহারও দেখা যায়। কিন্তু মা ও শিশু রোগের চিকিৎসার বিষয়ে প্রশিক্ষণের কোন সনদ দেখাতে পারেননি তিনি। আরএসপি (ঢাকা) এর কোন সনদ নেই তার কাছে।
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) বাংলাদেশে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রিধারীদের লিস্টে এই চিকিৎসকের নাম নেই। কিন্তু তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (কলকাতা) ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সারা দেশে প্রায়ই আমরা ভুয়া চিকিৎসক আটক বা ধরা পড়ার খবর পাই। আমাদের এলাকায় কে ডাক্তার আর কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক আসলে আমাদের জানা নেই। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, বিশেষ অভিযান দিয়ে এলাকার মানুষকে সঠিক চিকিৎসা সেবা ও ডাক্তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আমরা তার তথ্য এই মুহূর্তে প্রকাশ করতে চাইছি না। কারণ আমরা চাই যারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে তারা যেন পালিয়ে বাঁচতে না পারে। হাতেনাতে ধরার জন্য মূলত তার তথ্য প্রকাশ করছি না ।
এ বিষয়ে পরিমল চন্দ্র রায় চন্দনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ডাক্তার না, পল্লী চিকিৎসক। তবে সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ড কোম্পানি আমাকে না জানিয়ে করেছে। রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক মানুষ আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসে তাই চিকিৎসা করি।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুস সালেহীন জানান, একজন ফার্মেসী ব্যবসায়ীর কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা প্রদান বা কোন প্রকার ঔষধ দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা জেলা সিভিল সার্জন ও প্রশাসনকে জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবো। তাদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।